মালিক ইব্রাহিম। বয়স ৪০। বাস সিরিয়ার ইদলিব শহরে। সেদিন যখন ভূমিকম্পের কথা টের পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী, ছেলে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন ইব্রাহিম। স্বস্তির শ্বাস ফেলে ভেবেছিলেন, যাক প্রাণটা বেঁচে গেল তবে। কিন্তু, সেই স্বস্তির প্রহর শেষ হয়ে যায় নিমেষেই।
আরও পড়ুন: তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১৫ হাজার, নিখোঁজ এক ভারতীয় ব্যবসায়ী
advertisement
ইব্রাহিমের দেশ বা গ্রামের বাড়ি তুরস্ক সীমান্ত সংলগ্ন বেসনায়া গ্রামে। ভূমিকম্পের পরে সেখানে থাকা আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন ইব্রাহিম। কিন্তু, কোনও উত্তর আসে না। আশঙ্কার পারদ চড়তে শুরু করে ক্রমশ। সহ্য করতে না পেরে শেষে গ্রামেই হাজির হন তিনি। পৌঁছেই দেখেন, সেই ছেলেবেলা থেকে চেনা তাঁর বাড়িটাকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে কয়েক সেকেন্ডের ভূমিকম্প।
আরও পড়ুন: ধ্বংসস্তূপের নীচে ১৭ ঘণ্টা! ভাইকে আগলে রাখল দিদি-র হাত, তারপর....
পাগলের মতো দু'হাত দিয়ে কংক্রিটের স্তূপ সরাতে শুরু করেন ইব্রাহিম। তাঁর অবস্থা দেখে হাত লাগান বাকিরাও। দু'দিনের মধ্যে একে একে বেরিয়ে আসে ১০ জনের নিথর দেহ। একটা গোটা পরিবার পুরো শেষ। এখনও ধ্বংসস্তূপ হাঁতড়ে নিজের মা-বাবা, কাকা, ভাইঝিদের খুঁজে চলেছেন ইব্রাহিম। যদি কেউ কোথাও বেঁচে থাকে...
গত সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় কমপক্ষে ১৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮।