গত সোমবার ভোর রাতে প্রবল ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে তুরস্ক এবং তার প্রতিবেশী যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া। রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭.৮। তারপরেও দফায় দফায় আফটার শকে কেঁপেছে এই দুই দেশ। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ১৫ হাজার।
ত্রাণশিবিরে নেই পর্যাপ্ত জল, পর্যাপ্ত খাবার। নেই শীত থেকে বাঁচতে পর্যাপ্ত কম্পলও। মাথার উপরে ছাদ তো আগেই গেছে। এখন কংক্রিটের ধ্বংসস্তূপের নীচ থেকে এক এক করে টেনে বার করতে হচ্ছে প্রিয়জনদের।
advertisement
আরও পড়ুন: তুরস্কের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ১৫ হাজার, নিখোঁজ এক ভারতীয় ব্যবসায়ী
চতুর্দিকে যখন এমন ছবি, তখনই সামনে ভেসে এল এক দৃশ্য। যা আবারও প্রমাণ করল পৃথিবীতে একমাত্র নির্ভেজাল, নিষ্পাপ ভালবাসাই আশার আলো জিইয়ে রাখতে পারে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ধ্বংসস্তূপের মাঝে ২টো ফুটফুটে মুখ। নিজের ছোট্ট ভাইকে আঁকড়ে ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে তার ৭ বছরের দিদি।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন, হু-এর প্রধান টেড্রস অ্যাঢানাম ঘেব্রেইয়েসুস। লিখলেন, "এমন সাহসী মেয়েটাকে অশেষ শ্রদ্ধা।"
রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধি মহম্মদ সাফা-ও ভিডিওটি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে শেয়ার করেন। লেখেন, "১৭ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে নিজেই। বয়স মাত্র ৭ বছর। তা সত্ত্বেও এক হাত দিয়ে ভাইকে আগলে রেখেছে সে।"
আরও পড়ুন, ধ্বংসস্তূপের নীচে কতদিন বাঁচে মানুষ? রয়েছে অনেক নজির, শুনলে মনে হবে অবিশ্বাস্য
এই দশকের সবচেয়ে ভয়ানক ভূমিকম্পের কবলে পড়েছে তুরস্ক-সিরিয়া। ১৯৩৯ সালের পরে এমন জোরাল ভূকম্পে কাঁপেনি তুরস্কের মাটি। সেবার ভূমিকম্পে ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এবার ভূমিকম্পে বলি হওয়া মানুষের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
যাঁরা বেঁচে গিয়েছেন নয় ত্রাণশিবিরে খাবার, পানীয় জলের জন্য হাহাকার করছেন, নয় হাত দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়েই খোঁজার চেষ্টা করছেন নিজের প্রিয়জনদের।