প্রায় চার বছর ধরে চলা রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করতে জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক নির্ধারিত। বৈঠকের আগে সাংবাদিকদের জেলেনস্কি জানান, তিনি একটি নতুন ২০ দফার শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আসছেন। ওই প্রস্তাবে একটি প্রস্তাবিত অসামরিক অঞ্চল এবং ইউক্রেনের জন্য মার্কিন নিরাপত্তা গ্যারান্টির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন, তিনি এই প্রস্তাব গ্রহণে কোনও তাড়াহুড়ো করছেন না। পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, “আমার অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত ওঁর কিছুই করার নেই। দেখা যাক, উনি কী প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন।”
advertisement
প্রত্যেক বিধানসভায় ১১টা করে শুনানি কেন্দ্র, SIR-এ ডাক পেলে কী কী করা হবে? ৩২ লক্ষ ভোটারকে নোটিস
স্ত্রীর নামে পোস্টঅফিসে ১ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোসিট করলে ২ বছরে কত টাকা মিলবে?
এই মন্তব্যে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যুদ্ধ-পরবর্তী ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ অনেকটাই ট্রাম্পকে রাজি করানোর ওপর নির্ভর করছে। যুদ্ধ বন্ধের লক্ষ্যে ট্রাম্পের অবস্থান মাঝে মধ্যেই রাশিয়ার দিকে ঝুঁকছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। যেখানে রাশিয়া এখনও তার অবস্থান থেকে বিশেষ সরেনি, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে তাদের প্রাথমিক দাবিগুলি থেকে কিছুটা সরে আসতে চাপ দিচ্ছে।
রবিবারের বৈঠকটি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পের জোরালো উদ্যোগের অংশ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধে ইতিমধ্যেই কয়েক দশ হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। জেলেনস্কি সাংবাদিকদের জানান, এই বৈঠক থেকে চূড়ান্ত চুক্তি হবে কি না তা নিশ্চিত নয়, তবে দু’পক্ষই যতটা সম্ভব বিষয় চূড়ান্ত করার চেষ্টা করবে।
ট্রাম্প জানান, জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর বৈঠক ফলপ্রসূ হতে পারে এবং খুব শিগগিরই তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট Vladimir Putin-এর সঙ্গেও কথা বলতে চান। তাঁর কথায়, “জেলেনস্কির সঙ্গেও ভাল আলোচনা হবে, পুতিনের সঙ্গেও।”
এই মন্তব্যের আগে জেলেনস্কি ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই আলোচনা “ভাল” হয়েছে বলেও জানান তিনি। জেলেনস্কির ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য ভূখণ্ডগত ছাড়ের ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। সিএনএনের দাবি, ইউক্রেন ও মার্কিন আধিকারিকদের মধ্যে তৈরি এই পরিকল্পনা প্রায় ৯০ শতাংশ প্রস্তুত। অন্যদিকে রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ অভিযোগ করেছেন, জেলেনস্কি মার্কিন মধ্যস্থতায় হওয়া চুক্তিকে “ভেস্তে দেওয়ার” চেষ্টা করছেন এবং যে কোনও সমঝোতা ট্রাম্প ও পুতিন নির্ধারিত সীমার মধ্যেই থাকতে হবে।
