এই ব্যক্তি প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প-কে “চ***য়া” বলে সম্বোধন করেন। মন্তব্যটি শোনার পর স্টুডিওতে হাসির রোল পড়ে যায়। তিনি পরে আবারও সেই শব্দ ব্যবহার করেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যাপক সমালোচনা শুরু করেন। উল্লেখ্য, হিন্দি শব্দটি আনুমানিকভাবে “বোকা” বা “ইডিয়ট”-এর সমার্থক।
advertisement
ফেয়ার এরপর মন্তব্য করেন, “আমার আশাবাদী সত্তা বিশ্বাস করতে চায় যে, আমলাতন্ত্র সবকিছু ঠিক রাখবে। কিন্তু আমার নৈরাশ্যবাদী সত্তা এটা বলে যে, মাত্র ছয় মাস কেটেছে আর আমাদের সামনে চার বছর থাকতে হবে এই চ**য়া-কে নিয়ে।”
তিনি আরও বলেন, “এটাই সেই শব্দ যা আমি উর্দুতে বারবার ব্যবহার করি এবং অনেক দর্শক আপত্তি করেন। অথচ এবার আমরা ইংরেজি আলোচনায়ও এটিই ব্যবহার করেছি।”
এর জবাবে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী পিরজাদা বলেন, “এই নির্দিষ্ট শব্দটির এত বিশাল গুরুত্ব যে অনেক সময় কোনও পরিস্থিতি বোঝাতে এই শব্দটি ব্যবহার করা ছাড়া উপায় থাকে না।”
আরও পড়ুন: আমেরিকা না রাশিয়া! জলের তলার যুদ্ধে কোন দেশের সাবমেরিন বেশি শক্তিশালী?
জবাবে ফেয়ার বলেন, “আমার গাড়ির লাইসেন্স প্লেটও হল চ**য়া।” এরপর তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করে বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তাদের অনেকেই তাঁদের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ নন। তাঁদের একক শক্তি হিসেবে নেওয়া প্রলুব্ধকর হলেও, বাস্তবে বিষয়টি অনেক জটিল। আমাদের একটি বিশাল আমলাতন্ত্র আছে যা গত ২৫ বছর ধরে এই সম্পর্কগুলো নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু আমরা হাজার হাজার স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্মী হারিয়েছি, এবং কোথায় সেই অভিজ্ঞতা নষ্ট হয়েছে তার কোনও ধারণা নেই।”
ক্যারল ক্রিস্টিন ফেয়ার মার্কিন রাজনৈতিক বিজ্ঞানী এবং জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞ। তিনি র্যান্ড কর্পোরেশন, আফগানিস্তানে জাতিসংঘ এবং ইউএস ইনস্টিটিউট অফ পিস-এ কাজ করেছেন। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও লস্কর-ই-তৈবার ওপর তাঁর একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে।