US vs Russia Submarine Strength: আমেরিকা না রাশিয়া! জলের তলার যুদ্ধে কোন দেশের সাবমেরিন বেশি শক্তিশালী?
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
US vs Russia Submarine Strength: যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সাবমেরিন শক্তি নিয়ে বিশদ তুলনায় উঠে এসেছে ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ফাস্ট অ্যাটাক সাবমেরিনে তাদের সক্ষমতা। ওহাইও, ভার্জিনিয়া, বোরেই, ডেল্টা IV, ইয়াসেন ও আকুলা-শ্রেণি এই শক্তির মূল ভিত্তি৷ জলের যুদ্ধে কাদের সাবমেরিন বেশি শক্তিশালী বিস্তারিত জানুন...
advertisement
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি পারমাণবিক সাবমেরিন কৌশলগত স্থানে পাঠাচ্ছে, যা শীতল যুদ্ধের এক পুরনো কৌশল। এই সিদ্ধান্ত আসে প্রাক্তন রুশ প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের "মৃত অর্থনীতি" মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ার পর। ট্রাম্প মস্কোর অবাধ্যতার জবাবে এই মোতায়েনের নির্দেশ দেন, কারণ তাঁর শুল্ক ও নিষেধাজ্ঞার হুমকি কার্যকর হয়নি।
advertisement
‘ডেড হ্যান্ড’ সতর্কতা ও রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া মেদভেদেভ ট্রাম্পকে ‘ডেড হ্যান্ড’ কৌশলের কথা মনে করিয়ে দেন—যা একধরনের স্বয়ংক্রিয় বা আধা-স্বয়ংক্রিয় পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, যা দেশের নেতৃত্ব ধ্বংস হলেও পারমাণবিক পাল্টা আঘাত হানতে সক্ষম। ক্রেমলিন এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেয়নি, তবে জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা ভিক্টর ভোদোলাতস্কি বলেন, বিশ্বের মহাসাগরে রাশিয়ার পারমাণবিক সাবমেরিনের সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক বেশি এবং ট্রাম্প যে সাবমেরিনগুলো রাশিয়ার কাছে পাঠিয়েছেন, সেগুলো ইতিমধ্যেই রাশিয়ার নজরদারিতে রয়েছে।
advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন (ওহাইও-শ্রেণি) যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর ওহাইও-শ্রেণির ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন (SSBN) গোপন চলাফেরার ক্ষমতা এবং পারমাণবিক ওয়ারহেড নির্ভুলভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পরিচিত। ‘বুমার’ নামে পরিচিত এ ধরনের অন্তত ১৪টি সাবমেরিন বর্তমানে সক্রিয় রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী টহলের জন্য নির্মিত এসব সাবমেরিন ১৫ বছর বড় ধরনের সংস্কার ছাড়াই চলতে পারে এবং ২০টি সাবমেরিন-লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল (SLBM) বহন করতে পারে। এর প্রধান অস্ত্র ট্রাইডেন্ট II D5 SLBM।
advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের ফাস্ট অ্যাটাক সাবমেরিন যুক্তরাষ্ট্র তিন শ্রেণির পারমাণবিক শক্তিচালিত আক্রমণাত্মক সাবমেরিন (SSN) পরিচালনা করে—ভার্জিনিয়া-শ্রেণি, সিওয়ুলফ-শ্রেণি ও লস অ্যাঞ্জেলেস-শ্রেণি (৬৮৮-শ্রেণি নামেও পরিচিত)। এগুলো টমাহক, হারপুন মিসাইল এবং এমকে-৪৮ টর্পেডো দিয়ে সজ্জিত, যা শত্রু জাহাজ ধ্বংস, গোয়েন্দা কার্যক্রম, মাইন যুদ্ধ এবং নজরদারিতে সক্ষম।
advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিনের সক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২৪টি ভার্জিনিয়া-শ্রেণির SSN রয়েছে, যার মধ্যে ইউএসএস হাওয়াই, ইউএসএস নর্থ ক্যারোলাইনা, ইউএসএস মিজুরি উল্লেখযোগ্য। এগুলোতে বিশেষ অপারেশন বাহিনী সমর্থনের সুবিধা এবং ডাইভারদের জন্য লক-ইন/লক-আউট চেম্বার রয়েছে। এছাড়াও তিনটি সিওয়ুলফ-শ্রেণির সাবমেরিন রয়েছে, প্রথমটি ইউএসএস সিওয়ুলফ ১৯৯৭ সালে কমিশন পায়। ২৪টি লস অ্যাঞ্জেলেস-শ্রেণির সাবমেরিন এখনও সক্রিয়, যা ১৯৭৬ সালে সোভিয়েত হুমকি মোকাবিলার জন্য নির্মিত হয়েছিল এবং এখন ধীরে ধীরে ভার্জিনিয়া-শ্রেণি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হচ্ছে।
advertisement
রাশিয়ার ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন: রাশিয়ার কাছে প্রায় ৬৪টি সাবমেরিন রয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১৪টি ব্যালিস্টিক মিসাইল সাবমেরিন (SSBN) তাদের কৌশলগত শক্তির মূল অংশ। এর মধ্যে রয়েছে বোরেই-শ্রেণি ও ডেল্টা IV-শ্রেণি। রাশিয়ার নৌবাহিনীতে ৮টি বোরেই-শ্রেণির SSBN রয়েছে, প্রতিটিতে ১৬টি বুলাভা SLBM এবং ৬টি ৫৩৩ মিমি টর্পেডো লঞ্চার রয়েছে। এগুলো অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেট ও মাইন নিক্ষেপ করতেও সক্ষম।
advertisement
advertisement
advertisement
আকুলা-শ্রেণি সাবমেরিন রাশিয়ার প্রায় ৫টি আকুলা-শ্রেণির সাবমেরিন সক্রিয় রয়েছে, যা নীরব হত্যাযন্ত্র হিসেবে পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস-শ্রেণির মোকাবিলায় তৈরি এই সাবমেরিনগুলো ক্যালিবার, অনিক্স বা গ্রানিট মিসাইল এবং টর্পেডো চালাতে সক্ষম। সমুদ্রের গভীরে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার এই প্রতিযোগিতা এখনও বিশ্ব রাজনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ শক্তির খেলা।