একটি সাংবাদিক বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, “তোমরা আমাকে শান্তির নোবেল দাও… সবচেয়ে বড় কাজটা করেছি ভারত ও পাকিস্তান নিয়ে। কিন্তু শান্তির পুরস্কার কেবল উদারপন্থীদেরই দেওয়া হয়। আমি ভারত-পাকিস্তান নিয়ে খুব ভালো কাজ করেছি। ভবিষ্যতে দুই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তিও করব। খুব সুন্দর সবকিছু হবে, দেখার মতো।”
advertisement
তিনি দাবি করেন, ২০২৫ সালের ‘অপারেশন সিন্দুর’ চলাকালীন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতার পিছনে তাঁরই কূটনৈতিক কৌশল ছিল মূল চালিকাশক্তি। তাঁর কথায়, শুধু ভারত-পাকিস্তান নয়, আরও নানা সাফল্যের তালিকাও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে—যেমন অ্যাব্রাহাম চুক্তি (ইজরায়েল ও আরব দেশগুলির মধ্যে শান্তিচুক্তি), কঙ্গো ও রুয়ান্ডার শান্তি চুক্তি, সার্বিয়া-কসোভো বিরোধের নিষ্পত্তি, এমনকি মিশর ও ইথিওপিয়ার মধ্যেকার জলবণ্টন বিরোধেও তাঁর ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ।
নিজের Truth Social প্ল্যাটফর্মে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে মিলে তিনি কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যে একটি “অসাধারণ” শান্তিচুক্তির ব্যবস্থা করেছেন।
তাঁর কথায়, “আমি শান্তির নোবেল পাব না… কঙ্গো-রুয়ান্ডা যুদ্ধ থামানোর জন্য নয়, ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ থামানোর জন্য নয়, সার্বিয়া-কসোভো বা মিশর-ইথিওপিয়া নিয়ে কাজ করেও নয়, এমনকি অ্যাব্রাহাম চুক্তির জন্যও নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন বা ইজরায়েল-ইরান নিয়েও আমি কিছু করলেও, তাও নয়। কিন্তু জনগণ জানে আমি কী করেছি—আমার কাছে সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
পাকিস্তানের তরফে ট্রাম্পের শান্তির নোবেল মনোনয়ন—
এই প্রসঙ্গ উঠেছে পাকিস্তান সরকার ট্রাম্পকে ২০২৬ সালের শান্তির নোবেল পুরস্কারের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়ন দেওয়ার পরে। ইসলামাবাদের দাবি, ২০২৫ সালে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছনোর সময়, ট্রাম্পের ‘ব্যাক-চ্যানেল’ কূটনীতি এবং কৌশলী হস্তক্ষেপেই ১০ মে একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্ভব হয়।
পাকিস্তান সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এটা ছিল দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্য একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। ট্রাম্প প্রকৃত শান্তিদূতের ভূমিকা পালন করেছেন।”
অতীতে বহুবার ট্রাম্প নিজেকে শান্তির নোবেল পাওয়ার উপযুক্ত দাবিদার বলে দাবি করেছেন, তবে এবার প্রথমবার কোনও দেশের তরফে তাঁর মনোনয়ন এল আনুষ্ঠানিকভাবে—তাও আবার ভারত-পাকিস্তান প্রসঙ্গে। এখন দেখার, নোবেল কমিটি তাঁর এই দাবিকে কীভাবে গ্রহণ করে।