বিরসা দাশগুপ্তর আগামী ছবি শ্যুটিংয়ে গিয়ে সেখানে আটকে রয়েছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, তথ্য মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সব্যসাচী চক্রবর্তীর ছেলে গৌরব চক্রবর্তী, টেলিভিশনের বিখ্যাত অভিনেতা যশ, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় এবং ইউনিটের বাকি ৪২ জন সদস্য ৷
জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে তুরস্কের বিভিন্ন জায়গায় চলছে শুটিং। শুক্রবারও শুটিং চলছিল ইস্তাম্বুলের রাস্তায়। হঠাৎ সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টায় গুলি-গোলা চলতে শুরু করে। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। সকলে কোনওরকমে হোটেলে ফিরে আসেন। তারপর থেকে সকলেই ইস্তাম্বুলের কংগ্রেস সেন্টারের কাছে ইউরো পার্ক হোটেলে ঘরবন্দি। বেশিরভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না ।
advertisement
বিরসা দাশগুপ্ত ট্যুইট করে জানিয়েছেন, তাঁরা সবাই সুরক্ষিত ৷ কিন্তু বাইরে অশান্ত পরিবেশ, তাই হোটেলেই সবাই আটকে রয়েছেন ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন ৷ তাঁদের সবাইকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার ৷
অন্যদিকে, বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকেও সবাইকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে ৷ তুরস্কে আটকে পড়া ভারতীয়দের কাছে খুব দরকার ছাড়া বাইরে বেরতে নিষেধ করা হয়েছে ৷
ইস্তাম্বুল বিমানবন্দর দখলমুক্ত করা হলেও এখনও বিমান চলাচল শুরু হয়নি ৷ উড়ান শুরু হলেই টলিউডের কলাকুশলীদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে আশ্বস্ত করেছে বিদেশমন্ত্রক ৷ শ্যুটিং ইউনিটের ৪২ জনেরই পাসপোর্টের বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে ৷
গত একমাস ধরেই শ্যুটিংয়ের জন্য গোটা ইউনিট নিয়ে তুরস্কেই ছিলেন বিরসা দাশগুপ্ত ৷ শুক্রবার গভীর রাতে তুরস্কের বিদ্রোহী সেনার অভ্যুত্থানে দিশাহারা হয়ে পড়ে গোটা দেশ। মাঝরাত থেকে আচমকাই গোলাগুলি ও বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ইস্তাম্বুল ও রাজধানী আঙ্কারা।
জাতীয় টেলিভিশন থেকে বিদ্রোহী সেনাবাহিনী গোটা দেশের উদ্দেশ্য জানায়, প্রশাসনিক ক্ষমতা তারা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। সেই সময়ে ছুটিতে ছিলেন তুরস্কের রাষ্ট্রপতি তেয়ইপ এরডোগান। শনিবার ভোররাতে ইস্তাম্বুলে ফিরে আসেন তিনি।
এরপরই তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে পুলিশ ও প্রশাসন, বলে দাবি জানায় তুরস্ক সরকার। তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা বানচাল করে দিয়েছে পুলিশ, প্রশাসন, দাবি তুরস্ক সরকারের। ১৫৬৩ বিদ্রোহীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরডোগান। এখনও পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, তুরস্কে বসবাসকারী সব ভারতীয়রাই সুরক্ষিত রয়েছেন ৷ এই মুহূর্তে তুরস্কে ৮০০ ভারতীয় রয়েছেন বলে খবর ৷