বৃহস্পতিবার বৈপ্লবিক আইনকে স্বাগত জানিয়ে থাইল্যান্ডে বিয়ে করেন এক হাই প্রোফাইল গে দম্পতি। আনন্দে মেতে ওঠেন শত শত লেসবিয়ান, গে, বাইসেক্সুয়াল, ট্রান্সজেন্ডার এবং কুইয়ার দম্পতিরা। অবশেষে তাঁদের দাম্পত্য জীবনও স্বীকৃতি পেল। সংবাদ সংস্থা এএফপি-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এদিন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন থাই অভিনেতা অপিওয়াত ‘পোর্শ’ অপিওয়াতসাইরি (৪৯) এবং সাপান্যু ‘আর্ম’ পানাতকুল (৩৮)। তাঁদের পরনে ছিল বেজ স্যুট। ব্যাঙ্ককের ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসে তাঁদের চার হাত এক হয়।
advertisement
আরও পড়ুন– কোন গন্ধ পেলে সাপ পালায় জানেন? উত্তর শুনলে চমকে যাবেন আপনিও
ম্যারেজ রেজিস্ট্রি সার্টিফিকেট হাতে নিয়ে ছবিও তোলেন আর্ম এবং পোর্শ। ধরা গলায় আর্ম বলেন, “এই দিনটার জন্য বহু বছর ধরে লড়াই করেছি। অবশেষে স্বীকৃতি। এই দিনটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কারণ দিনের শেষে ভালবাসা মানে ভালবাসাই।” প্রসঙ্গত, গত বছরের সেপ্টেম্বরে সমলিঙ্গ বিবাহ আইনে অনুমোদন দেন রাজা মহা বজিরালংকর্ণ। ১২০ দিন পর তা লাগু হল। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাধারণত জেলা অফিসেই রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়। তবে এই আইন উদযাপন করতে বৃহস্পতিবার প্রায় ৩০০ দম্পতি ব্যাঙ্ককের একটি শপিং মলের এগজিবিশন হলে বিয়র আয়োজন করেছেন।
থাইল্যান্ডের সংসদের উভয় কক্ষেই সমলিঙ্গ বিবাহ আইন পাশ হয়েছে। সিভিল এবং কমার্শিয়াল কোড সংশোধন করে ‘পুরুষ ও নারী’ এবং ‘স্বামী ও স্ত্রী’-এর মতো শব্দগুলো পরিবর্তন করে ‘ব্যক্তি’, ‘বিবাহের সঙ্গী’-এর মতো শব্দ যুক্ত করা হয়েছে। নয়া আইনের বলে LGBTQ+ দম্পতিরা সম্পূর্ণ আইনি, আর্থিক এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত অধিকার পাবেন। পাশাপাশি যৌথ সম্পত্তি, ট্যাক্স দায় ও ছাড়, উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে সমান অধিকার ও দায়িত্ব মিলবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ব্যাঙ্কক প্রশাসন জানিয়েছে, ম্যারেজ রেজিস্ট্রি অফিসারদের জন্য জেলা অফিসগুলিতে কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। যাতে তাঁরা নতুন আইনের খুঁটিনাটি জানতে পারেন। পাশাপাশি লিঙ্গ বৈচিত্র নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালে প্রথম সমলিঙ্গ বিবাহে অনুমতি দিয়েছিল নেদারল্যান্ড। তারপর ৩০টিরও বেশি দেশে এই ধরণের বিয়েকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে। থাইল্যান্ডের সমাজকর্মীরাএক দশকেরও বেশি সময় ধরে সমলিঙ্গ বিবাহ অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছেন। অবশেষে স্বীকৃতি মিলল।