গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা হয়েছিল এই জাদুঘরটি। যা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। ফলে যাঁরা পরবর্তী কালে দুবাই ঘুরতে যাবেন, তাঁরা অবশ্যই এক বার ঢুঁ মারতে পারেন এই জাদুঘরে। প্রথম দর্শনেই একেবারে প্রেমে পড়ে যাওয়ার মতো সুন্দর করে বানানো হয়েছে ভবিষ্যতের জাদুঘরকে। আকাশছোঁয়া বড় বড় বিল্ডিংয়ের মাঝেই যেন সৌন্দর্যের ডালি নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে উপবৃত্তাকার আকৃতির এই জাদুঘরটি।
advertisement
আরও পড়ুন– কেটলি থেকে চা ঢাললে কোন কাপটি সবার আগে ভরবে? মজার এই ধাঁধার উত্তরটা বার করতে পারবেন কি?
৩০,০০০ বর্গমিটার জায়গা জুড়ে থাকা রুপোলি রঙা এই ভবনটি নির্মাণ শিল্পের উদ্ভাবনের হদিশ দেয়। এখানেই শেষ নয়, জাদুঘরের বাইরের অংশ জুড়ে ঝলমলে রুপোলি রঙের উপর করা হয়েছে আরবীয় ক্যালিগ্রাফি। এর পাশপাশি দুবাইয়ের শাসক শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমের উক্তিও ফুটে উঠেছে দেওয়াল জুড়ে। যা ভবিষ্যতের সফরের প্রতীক। এর মধ্যে একটি উক্তিতে লেখা রয়েছে যে, “আমরা হয়তো একশো বছর ধরে বেঁচে থাকব না। কিন্তু আমাদের সৃজনশীলতার ফল আমরা চলে যাওয়ার পরেও থেকে যাবে।”
আরও পড়ুন– সেল এখন লাইভ; ১৩,৩০০ টাকার বেনিফিট ওয়ানপ্লাস ১১ ৫জি মার্বেল ওডিসি ফোনে !
আর সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় হল এই জাদুঘরে কোনও রকম পিলার নেই। এই জাদুঘরের ভিতরে পা রাখলেই বোঝা যাবে ভবিষ্যৎ বিষয়ক ধারণা এবং চিন্তাভাবনা। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় ‘ওএসএস হোপ’-এর কথা। মহাকাশে মানুষের বাড়ি কেমন হবে, সেই বিষয়ে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, এখানে এসে ২০৭১ সালে মানুষের জীবন কেমন হতে পারে, তার একটা স্পষ্ট ধারণা পাবেন দর্শনার্থীরা। আর একটা উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্য বিষয় হল ‘দ্য হিল ইনস্টিটিউট’। দেখানো হচ্ছে যে, ২০৭১ সালে একটি প্রতিষ্ঠান থাকবে। আসলে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারা বিশ্ব জুড়ে পরিবেশের উপর যে প্রভাব পড়ছে, তা মেরামত করতে সাহায্য করবে এই প্রতিষ্ঠানটি। এখানেই শেষ নয়, বাচ্চাদের জন্যও রয়েছে আকর্ষণীয় স্থান – ‘ফিউচার হিরোজ’। এই প্রদর্শনী মূলত ছোটদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে।