মুম্বইয়ের ওই উদ্যোগপতি সংবাদমাধ্যমের কাছে সেই সাক্ষাতের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। তিনি জানান, দুবাইয়ের যে হোটেলে তাঁরা উঠেছিলেন, ওই হোটেলের ২২-তলা থেকে একেবারে গ্রাউন্ড ফ্লোরে নামার জন্য লিফটে উঠেছিলেন। সঙ্গে ছিল তাঁর পরিবারও। ২১-তলায় পৌঁছনোর পরে লিফটের দরজা খুলতেই চমক। সপার্ষদ হেঁটে এসে লিফটে উঠলেন স্বয়ং দুবাইয়ের রাজা শেখ মহম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম।
advertisement
কিছুক্ষণের জন্য সময় যেন থমকে গিয়েছিল! আনস বলে চলেন, “আমরা হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। তিনি লিফটে পা রাখেন এবং ভীষণই বন্ধুত্বপূর্ণ স্বভাবের। এমনকী তিনি আমার মেয়ের কাঁধেও হাত রাখেন। মনে হচ্ছিল যেন কত দিনের চেনা! মেয়ের সঙ্গে কথা বলার পরে তিনি আমাদের দিকে ফিরে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমরা কোথা থেকে এসেছি! আর কী করি! এর পরেই অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য সম্মতি দেন। এদিকে আমার ছেলে কোনও ছবিতে তেমন একটা হাসে না, তবে এই ছবিতে ওর মুখের চওড়া হাসিটা একবার দেখুন!”
আরও পড়ুন– কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী! মুখ খুললেন শুভেন্দু… কী বললেন?
এখানেই শেষ নয়, ইনস্টাগ্রামেও সেই সাক্ষাতের মুহূর্ত শেয়ার করেছেন আনস। দুবাইয়ের শাসকের সঙ্গে দেখা হওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে লেখেন, “একেবারে মাটির মানুষ তিনি। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গেই তিনি আমাদের ছবি তোলার অনুমতি দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে মিশেলের সঙ্গেও বেশ খানিক গল্প করেছেন।”
মিশেল হল আনসের বছর দশেকের কন্যা। মা থানজিম এবং সাত বছরের ছোট্ট ভাই দানিয়ালের মতো মিশেলও দুবাইয়ের শাসককে দেখে প্রচণ্ড আনন্দিত হয়েছিল। আনসের কথায়, “দুবাইয়ের শাসক লিফট থেকে নামতেই আমরা রীতিমতো আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলাম। তখনও ঘোরের মধ্যে ছিলাম। কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে, অবশেষে আমরা তাঁর দেখা পেলাম। আর কথাও বললাম। আমার স্ত্রী তো লিফটে ছবিও তুলে সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, বিশ্বের মধ্যে তাঁর সবথেকে প্রিয় লিফট এটাই। আমরা এতটাই উচ্ছ্বসিত ছিলাম যে, আমাদের স্কুলের বন্ধু এবং পারিবারিক গ্রুপেও সেই ছবি শেয়ার করেছি!”