অবশ্য ওই প্যাকেজে কি ধরণের অস্ত্র থাকবে সেই বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী। ২০২২ সালে দ্বীপরাষ্ট্রে মার্কিন রাজনীতিবিদ আর হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর থেকেই যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়িয়ে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা বলয়ে বারবার প্রবেশ করছে চিনের যুদ্ধবিমান। এমনকি সে দেশের প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকছে চিনের যুদ্ধজাহাজ। এই আবহে ফের আমেরিকা থেকে ৫০ কোটি ডলারের অস্ত্র পাচ্ছে তাইওয়ান।
advertisement
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘তাইওয়ান নীতি আইন’ ঘোষণা করে হোয়াইট হাউস। সেই আইন অনুযায়ী তাইইপেইকে দ্রুত সামরিক সাহায্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। জো বাইডেনের ঘোষিত ওই আইনের ভিত্তিতে পরবর্তী চার বছরে তাইওয়ানকে প্রায় ৪৫০ কোটি টাকার অস্ত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন প্রশাসন।
আমেরিকার ওই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকেই ক্ষুব্ধ বেজিং তাইওয়ানের সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে চিনের যুদ্ধবিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বেশ কয়েকদিন চলে ওই বিমান অভিযান। লালফৌজের বিমান হানার জবাবে পালটা নিজেদের যুদ্ধবিমান পাঠায় তাইওয়ান।
আরও পড়ুন, কোথায় ঘূর্ণিঝড় মোকা! তীব্র গরমে পুড়ছে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ, রইল আবহাওয়ার আপডেট
আরও পড়ুন, ঘুমের মধ্যে কেঁপে উঠল বাড়ি! কাকভোরে প্রবল ভূমিকম্প, আতঙ্কে রয়েছেন সকলে
কিন্ত সে চেষ্টাকে কোনও গুরুত্ব না দিয়ে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বলয়ে ঢুকে পড়ে চিনের যুদ্ধজাহাজ। বারবার বেজিং-এর তরফে জানানো হয়েছে তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে চিন। তাই এব্যাপারে কোনও দেশের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার জরুরি ভিত্তিতে যুদ্ধাস্ত্র পাঠানোর সিদ্ধান্ত নতুন কোনও সংঘর্ষের আবহ তৈরি করে কি না সে দিকেই নজর রাখছে আন্তর্জাতিক দুনিয়া।