বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের জন্য যে ক’টি গোষ্ঠী বিদ্রোহ শুরু করেছিল তার মধ্যে ইসলামিক হায়াত তাহরির আল শাম অন্যতম। প্রথমবার জনসমক্ষে এসে এদিন বাশারের সঙ্গে ইরানকেও তোপ দাগেন জোলানি। নিজের ভাষণে বাশার সরকারের পতনকে “ইসলামিক জাতির বিজয়” বলে অভিহিত করেন তিনি। জনতার উদ্দেশ্যে জোলানি বলেন, “ইরানের লোভের জন্য বাশার সিরিয়াকে পশু খামার বানিয়ে ফেলেছিলেন।”
advertisement
আরও পড়ুন: মাছ খেতে ভালবাসেন? জানেন এই ৪ মাছ শরীরের বড় ক্ষতি করে! নামগুলো জেনে নিন
জোলোনির আসল নাম আহমেদ আল-শারা। এদিন নিজেই জনতাকে তাঁর আসল পরিচয় দিয়েছেন তিনি। বিদ্রোহ সফল করার জন্য জনতাকে শুভেচ্ছাও জানান। গোটা মসজিদ চত্বর তখন স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল। নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে এই ভিডিওটি শেয়ার করেছে বিদ্রোহীরা।
আগে ‘ইসলামিক হায়াত তাহরির আল শাম’ গোষ্ঠীর নাম ছিল ‘আল নুসরা ফ্রন্ট’। এই গোষ্ঠী তখন আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত ছিল। পরে অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে হাত মেলায় তারা। তাদের মিলিত আক্রমণেই পাঁচ দশক ধরে ক্ষমতাসীন বার্থ পার্টির শাসনের অবসান হল।
বাশার আল আসাদ এখন কোথায়, কেউ জানে না। সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস নামের একটি সংস্থা জানিয়েছে, শনিবার রাত ১০টা নাগাদ দামাস্কাস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ব্যক্তিগত বিমানে পালান বাশার। তাঁর বিমানের জন্য বাণিজ্যিক ফ্লাইটের যাত্রা স্থগিত করে দেওয়া হয়। বাশারের বিমান ওড়ার পর সেনা এবং নিরাপত্তাবাহিনী বিমানবন্দর ছাড়ে।
আরও পড়ুন: খেজুর ভেবে চিনা জুজুবি ফল কিনছেন না তো? না ঠকে, আসল খেজুর চেনার সহজ উপায় জানুন
এদিকে, বিমান দূর্ঘটনায় বাশার আল আসাদের মৃত্যু হয়েছে বলে অনেকে অনুমান করছেন। কারণ মাঝ আকাশে তাঁর বিমান হঠাত পথ পরিবর্তন করে উল্টোদিকে উড়তে শুরু করে। হোমস শহরের কাছে শেষবার র্যাডারে বিমানের অবস্থান ধরা পড়েছিল। তারপর উধাও হয়ে যায়। এমনটাই রিপোর্টে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
বাশার দেশছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাস্তায় নেমে আসে সিরিয়াবাসী। শুরু হয় উৎসব। চলে হইহুল্লোড়। আসাদ পরিবারের সদস্যদের মূর্তি ভাঙতে শুরু করে উল্লসিত জনতা। বাশারের বাসভবনেও হামলা চলে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলয় ঘোষণা করে দেয়, “দামাস্কাস এখন মুক্ত।” আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যে নতুন যুগের শুরু হল। তবে আগামীদিনে অনেক উথালপাথাল হতে পারে।