এখানে এবারের থিম ‘শান্তিরূপেণ সংস্থিতা’। চারদিকে যখন অশান্তি ও বিভাজনের খবর, তখন মা দুর্গার শান্তিময় রূপকেই বেছে নিয়েছেন পুজো উদ্যোক্তারা। দেবী দুর্গা যেমন অশুভ শক্তির বিনাশিনী, তেমনই করুণা ও সমবেদনার প্রতীক। মণ্ডপসজ্জায় থাকছে আলপনার ছোঁয়া—ওঁ, পদ্ম, শঙ্খ, ময়ূরের নকশা। টানা চতুর্থ বছরের মতো পূজা পরিচালনা করবেন নারী পুরোহিতেরা, যা বিদেশের মাটিতে দেবী দুর্গার আরাধনায় একেবারে আলাদা বিশেষত্ব বহন করে।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫০ লক্ষ, ১ কোটি নয়! মাত্র ২ লক্ষ বাজেটের ‘এই’ পুজো, নজর কাড়ছে এলাকায়, নজির গড়ছে রাজ্যে
আচার-অনুষ্ঠানে এখানকার মতোই, নবপত্রিকা স্নান, সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমীর পূজা, সন্ধিপুজো, যজ্ঞ ও পুষ্পাঞ্জলি। প্রতিদিন পরিবেশিত হয় ঐতিহ্যবাহী ভোগের মেনু—খিচুড়ি, লাবড়া, লুচি ও মিষ্টি। দশমীর রাতে আনন্দমেলায় হোম শেফদের হাতের নানা পদে জমে উঠবে খাদ্যের উৎসব। সন্ধ্যাতেই বিশেষ আয়োজন, মঞ্চ ভরে তুলতে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায়—গান, নৃত্য, আবৃত্তি, ধুনুচি নাচ কত কী। বিজয়ার দিনে থাকবে দেবী বরণ ও সিঁদুর খেলা, যেখানে যোগ দেবেন প্রবাসী বাঙালির পাশাপাশি সুইডিশ বন্ধুরাও।
শুধু দুর্গাপুজো নয়, উৎসবের আবহকে দীর্ঘায়িত করতে কালীপুজো উপলক্ষে হেলসিংবর্গে হাজির হবে জনপ্রিয় বাংলা ব্যান্ড ক্যাকটাস। তাদের সুরে রঙিন হবে প্রবাস জীবনের আরও এক অধ্যায়। এইভাবেই ভক্তি, আনন্দ আর সংস্কৃতির আবহে তিনদিন ভরে উঠেছে নবম দুর্গোৎসব। আর শেষে উচ্চারিত হবে সেই চিরন্তন প্রার্থনা—’যুদ্ধ নয় শান্তি চাই, বিভাজন নয় সহাবস্থান চাই।’