অর্থনৈতিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত দেশ শ্রীলঙ্কায় সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীরা রাষ্ট্রপতি ভবন এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলিতে হামলা চালায়। কেমব্রিজ প্লেসে বিক্রমাসিংহের ব্যক্তিগত বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেন তাঁরা।
আরও পড়ুন- ময়লা ফেলার গাড়িতে মোদি, যোগীর ছবি! চাকরি থেকে বরখাস্ত উত্তরপ্রদেশের সাফাইকর্মী!
বিক্রমাসিংহে সিএনএনকে এক সাক্ষাত্কারে জানান, আগুনে ভস্মীভূত তাঁর বাসভবনের বেশিরভাগ বস্তুই আর উদ্ধারযোগ্য নয়। “আমার ৪,০০০ টিরও বেশি বই নষ্ট হয়েছে, যার মধ্যে কয়েকটি শতাব্দী প্রাচীন,” বলেন বিক্রমাসিংহে। ১২৫ বছরের পুরনো একটি পিয়ানোও আগুনে ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
advertisement
১০ জুলাই ট্যুইটারে ডেইলি মিরর সংবাদপত্র প্রকাশিত একটি ভিডিওতে বিক্রমাসিংহের পোড়া বাসভবন এবং গাড়ির ভয়াবহ দৃশ্য দেখানো হয়। বাড়ি জুড়ে নানা চিত্রশিল্প এবং অন্যান্য শিল্পকর্মও ছড়িয়ে ছিল।
বিক্রমাসিংহে জানান, বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করার অধিকারকে সম্মান করেন তিনি। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ বা প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবনের মতো আর একটিও সরকারি ভবন দখল করতে দেবেন না তিনি।
আরও পড়ুন- GST বাড়ানো হল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের! ফের দাম বাড়ল মুড়ি, দই, আটা, চালের!
ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, তিনি শ্রীলঙ্কার সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশকে সংসদীয় কাজে বাধা সৃষ্টি করা থেকে জনগণকে বিরত রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, সাংসদ ও সংসদকে তাঁদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেবেন না রনিল।
“আমরা পুলিশ এবং সামরিক বাহিনীকে অস্ত্র ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করছি... জনগণ কিছু অনুষ্ঠানে আক্রমণ করেছে কিন্তু আমরা এখনও বলেছি অস্ত্র ব্যবহার না করার জন্যই যথাসাধ্য চেষ্টা করুন,” বলেন রনিল বিক্রমাসিংহে।