ফেসবুকে নিজের পরিচয় দিয়ে উই লিখেছিল, একটি হাসপাতালে কর্মরত মহিলা গাইনোকোলজিস্ট। জুলাই মাসে প্রথম সন্দেহ হয় এক মহিলার। সিঙ্গাপুরের সেই মহিলা যখন বুঝতে পারেন, এই নামে আসলে কোনও ডাক্তার অস্তিত্বই নেই, তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন থানায়। তদন্তের অংশ হিসেবে ওই ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাসি চালায় পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় তার সমস্ত বেদ্যুতিক যন্ত্র।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, জেরার সময়ে উই চেউন স্বীকার করে যে সে মহিলাদের প্রতারণা করেছে। ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথাও নিজের মুখেই মেনে নিয়েছে সে। শুধু তা-ই নয়, যে মহিলারা তার কাছে মেডিক্যাল পরামর্শ চাইতেন, তাঁদের একটি ফর্ম ফিলআপ করতে দিত উই। যেখানে মহিলাদের যৌনাঙ্গের ছবি থেকে শুরু করে তাঁদের যৌনজীবন, সমস্ত তথ্য ভর্তি করতে হত।
ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর আর অরবিন্দ্রেন আদালতকে আবেদন করেছেন এই ব্যক্তিকে যেন কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। অরবিন্দ্রেনের যুক্তি, ''একজন মহিলা ডাক্তার সেজে একাধিক মহিলাকে প্রতারিত করে তাঁদের বিভিন্ন গোপন ছবি এবং ভিডিও পাঠানোর মতো এই অপরাধের জন্য ডাক্তারদের প্রতি জনগণের আস্থাকে অপব্যবহার করেছে এই ব্যক্তি। তা ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে মানুষের ভরসার সঙ্গে খেলা করেছে সে।''
আরও পড়ুন: মটন রেঁধে মালকিনকে 'মন চুরি' রাধুনির! ছাদনাতলায় এক হল চার হাত
অভিযুক্ত ব্যক্তি তার প্রোফাইল পিকচার-এ এক মালয়েশিয়ান মহিলার ছবি ব্যবহার করেছে। ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কেবল মহিলা নয়, পুরুষদেরও অ্যাড করেছে সে। তার পরিচয়কে আরও বৈধ এবং বিশ্বাসযোগ্য করতে একই নামে একটি লিঙ্কড ইন এবং ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলও তৈরি করেছে। তার পর এক এক করে মহিলাকে টার্গেট করত সে। নিজেকে ডক্টর লি হিসেবে পরিচয় দিত সে। মাসিক পরামর্শের জন্য আবার মেডিক্যাল প্ল্যান অফার করত উই। এবং এই পরামর্শের সময়ই ব্যক্তি মহিলাদের যৌনাঙ্গের ভিডিও এবং ছবি পাঠাতে বলত। যুক্তি দিত, এভাবে শারীরিক সমস্যাগুলি নির্ণয় করতে এবং তাঁদের জন্য একটি 'মেডিক্যাল প্ল্যান' অফার করতে সুবিধা হয়।
প্রায় চার বছর ধরে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট চালিয়ে প্রায় ৩৮ জন মহিলাকে প্রতারণা করে উই। প্রায় এক হাজারটি অন্তরঙ্গ ছবি এবং ভিডিও জোগাড়ও করে ফেলেছিল সে।