সংস্থার ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্স রিপোর্ট বেরনোর ঠিক আগেরদিন এমন খবর জানতে পারলেন কর্মীরা। কোভিড মহামারীর সময় প্রথম সারির ই-কমার্স সংস্থাগুলির বিক্রি বেড়েছিল। সেই সময় শপিফাই-এর বিক্রি বেড়েছিল। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর থেকেই Shopify-এর বিক্রি কমে।
আরও পড়ুন- চিনের লক্ষ লক্ষ যুবক বেকার, সরকারি অফিসে কেরানির চাকরির আবেদন ইঞ্জিনিয়ারদের
advertisement
রয়টার্সের রিপোর্ট জানাচ্ছে, শপিফাই-তে ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত ৭,০০০ কর্মী ছিল। তার পরও করোনা মহামারীর সময় বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় প্রচুর কর্মী নিয়োগ করে শপিফাই।
এর পর জানা যায়, ৩১ ডিসেম্বর ২০২১-এ সংস্থার মোট কর্মীর সংখ্যা ১০,০০০-এ পৌঁছয়। আর এখন ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি। আমাজন, ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স জায়ান্টদের সঙ্গে লড়াই শপিফাই-এর। ফলে তাদের জন্য টিকে থাকার লড়াই বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে দিন দিন।
টুইটার ও ইউটিউবের মাধ্যমে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং-এর উপর জোর দিয়েছিল শপিফাই। তবে তার পরও টিকে থাকার লড়াই তাদের বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা কর্মীর সংখ্যা কমাতে চাইছে। সংস্থা জানাচ্ছে, তাদের ব্যবসা এখন আগের মতো নেই।
গুগল, অ্যাপল-এর মতো সংস্থাও এখন কর্মী নিয়োগ কমিয়েছে। সেখানে শপিফাই-এর মতো সংস্থাগুলি সরাসরি কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটছে।
শপিফাই কর্মীদের জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় গ্রাহকরা আবার অফলাইন কেনাকাটায় ফিরেছেন। ফলে অনলাইনে কেনাকাটা আগের থেকে কমেছে। এই পরিস্থিতিতে ১০ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই ছাড়া তাদের আর কোনও উপায় ছিল না।
আরও পড়ুন- দুনিয়ার সব থেকে ভয়ঙ্কর জেল, কয়েদিদের ভোগ করতে হয় নরক যন্ত্রণা
২০১৬ সালে শপিফাই-তে ১৯০০ কর্মী ছিল। সেখানে ২০২১-এ তাদের কর্মী সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ১০ হাজার। তবে এখন কর্মীসংখা হতে পারে ৯ হাজার। ২০২০ সালে ৮৬ শতাংশ গ্রোথ দেখেছিল শপিফাই। ২০২১ সালেও তারা লাভের মুখ দেখেছে। তার পরও কর্মী ছাঁটাই কেন! উঠছে প্রশ্ন।