বিজ্ঞানীরা বলছেন যে তাঁরা যে ড্রোন তৈরি করেছেন, তা ওই ডাকিনীর মতো আভাসে এবং ইঙ্গিতে কিছু জানাবে না, যা বলার বলে দেবে সরাসরিই! তার ফলে পাপুয়া নিউগিনির মানাম দ্বীপের মানুষজন আগ্নেয়গিরির লাভা উদ্গীরণ আর তার করাল গ্রাস থেকে সতর্ক হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন আগেভাগেই!
খবর বলছে যে ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের আগ্নেয়গিরি-বিশেষজ্ঞ এমা লিউ এবং তাঁর দলবল তৈরি করেছেন এই উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোন যা আগ্নেয়গিরির ভিতরে ঢোকার পরেও সুরক্ষিত থাকবে। সেখান থেকে সে প্রয়োজনীয় ডেটা সংগ্রহ করে মানাম দ্বীপের আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ সমিতির সদস্যদের মনিটরে খবর পাঠাতে থাকবে।
advertisement
বিজ্ঞানীরা বলছেন যে মূলত দুই দিক থেকে এই ড্রোনের কাজ উপকারে আসবে মানাম দ্বীপের অধিবাসীদের। প্রথমত তা সরাসরি রিপোর্ট পাঠাবে যে আগ্নেয়গিরির ভিতরে ঠিক কী ঘটে চলেছে! দ্বিতীয়ত, তা একই সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখবে ভূমিতরঙ্গের পরিমাণও। অর্থাৎ কখন পৃথিবী কেঁপে উঠতে পারে, কখন ভূমিকম্প আর অগ্ন্যুৎপাত দুই ঘটবে একসঙ্গে, সেটাও জানিয়ে রাখবে এই যন্ত্র!
পাশাপাশি, বিজ্ঞানীরা আরেকটা কাজেও এই ড্রোনকে লাগাচ্ছেন! মানাম দ্বীপের জীবন্ত আগ্নেয়গিরি, যা কি না পৃথিবীর মধ্যেও সব চেয়ে কুখ্যাত, তার থেকে বেরিয়ে আসা সালফার অক্সাইড এবং কার্বন কী পরিমাণে বাতাসকে দূষিত করে চলেছে, তারও পরিসংখ্যান তাঁরা করবেন এই ড্রোনের সাহায্যে। এত দিন পর্যন্ত আগ্নেয়গিরিটি যে পাহাড়ে রয়েছে, তার খাড়া ঢালের জন্য সেখানে পায়ে হেঁটে যাওয়া সম্ভব ছিল না। সেই সমস্যা এ বার আর রইল না, ড্রোন সরাসরি আকাশপথে নিয়ে আসবে প্রয়োজনীয় সব তথ্য- দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা!
