ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাউন্সিলের তরফে জারি করা প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, এই প্রক্রিয়া যাতে আরও কার্যকর করে তোলা যায়, সেই কারণে তা ডিজিটাল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। স্যুইডেনের মাইগ্রেশন মন্ত্রী মারিয়া মালমের স্টেনিয়াগার্ড জানান, বৈধ ভ্রমণার্থীদের জন্য ডিজিটাল শেঙ্গেন ভিসার আবেদন প্রক্রিয়া খুবই সহজ হয়ে যাবে। আর সেই সঙ্গে শেঙ্গেন অঞ্চলও নিরাপদ হয়ে উঠবে। অনলাইন আবেদনের ফলে বারবার কনস্যুলেটেও ছুটতে হবে না। জাতীয় প্রশাসনগুলির জন্যও প্রক্রিয়াটা আরও মসৃণ হয়ে যাবে। এছাড়াও ডিজিটাল ভিসার ফলে বিকৃতকরণ এবং ভিসা স্টিকার চুরির ঝুঁকি কমবে।
advertisement
আরও পড়ুন- জলের মতো কেবলই পয়সা খরচ হবে, এই কয়েক রাশির জন্য তৈরি হচ্ছে দুর্ভোগের কারণ!
কী কী সুবিধা মিলবে?
অনলাইন প্রক্রিয়া:
একেবারে অন্যান্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ার মতো। শেঙ্গেন ভিসার আবেদনের জন্য কাউন্সিল একটাই প্ল্যাটফর্ম ও ওয়েবসাইট তৈরি করছে। ভ্রমণার্থীরা সেখানে জরুরি নথিপত্র আপলোড করে ফি প্রদান করতে পারবেন। আর ডিজিটাল মাধ্যমেই তাঁরা আবেদনের ফলাফল জানতে পারবেন।
ম্যানুয়াল রুট কারা অনুসরণ করবেন?
যাঁরা প্রথম আবেদন করছেন, তাঁদের ম্যানুয়াল রুট অনুসরণ করতে হবে। আর সিস্টেম থেকে যাঁদের বায়োমেট্রিকের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁদেরও এই রুট অনুসরণ করতে হবে। এমনকী, যাঁরা নতুন নথি জমা করবেন, তাঁদেরও কনস্যুলেটে যেতে হবে।
অটোমেটিক সিস্টেম:
যাঁরা একাধিক দেশে ভ্রমণ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইট স্বয়ংক্রিয় ভাবে সিদ্ধান্ত নেবে যে, কোন দেশ ওই প্রক্রিয়া পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য দায়ী। আর ভ্রমণার্থীর থাকার মেয়াদের উপর চূড়ান্ত বাছাই নির্ভর করে।
২ডি বারকোড:
ডিজিটাল ভিসার সঙ্গে থাকবে একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক্যাল সিগনেচার-সহ একটি ২ডি বারকোড। যা ভিসা স্টিকার চুরি যাওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমিয়ে দেবে।