সাংহাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ছোট রাস্তা, গ্যারাজ বা বড় কোনও বাড়ির হলওয়েতেও সাধারণ মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যাতে করোনা ছড়িয়ে না পড়তে পারে। দুটি ধাপে চিনা অর্থনৈতিক কেন্দ্রকে লকডাউনের আওতায় নিয়ে এসেছে প্রসাসন। প্রাথমিক ভাবে একটি অর্ধে চারদিনের জন্য লকডাউন করা হচ্ছে, অন্য অর্ধে সেটি বাকি তিনদিন। চিনা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, গোটা শহরকেই কড়া লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি হিসাবে এটি করা হচ্ছে। যদিও এই অংশে হওয়া করোনা বিপুল সংক্রমণ এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কোন পথে বিজেপি-র বিরুদ্ধে লড়াই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠিতে পড়ল শোরগোল
এর আগে, যখন নতুন করে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়, তখন সামান্য কিছু বিধিনিষেধ থাকলেও সাধারণ মানুষের বাড়ির বাইরে যাওয়ার বিষয়ে কোনও বাধা ছিল না, এই নিয়ম নতুন করে কার্যকর করা হয়েছে। এই রবিবার থেকেই সাংহাই প্রশাসন নতুন করে কড়া বিধি আরোপ করেছে করোনা নিয়ন্ত্রণের জন্য। চিনের সাংহাই প্রদেশে এখন করোনা সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। যে খানে সোমবার করোনা সংক্রমণের পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৫০০, সেখানে মঙ্গলবার, অর্থাৎ এক দিনের মধ্যে সেই দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৪৪৭।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে বেড়াতে গিয়ে নিরাপদ মহিলারা, উইনার্স বাহিনীর প্রশংসায় মমতা
সাংহাই প্রদেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে স্বাভাবিক কারণে চিন্তা বেড়েছে চিনের অর্থনৈতিক কার্যকলাপ নিয়ে। মনে রাখতে হবে, সাংহাইতেই রয়েছে পৃথিবীর বৃহত্তম বন্দর। চিনা প্রশাসনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই বন্দরটি আপাতত স্বাভাবিক ভাবেই কাজ করছে। অর্থনীতিকে চাঙ্গা রাখতে তাই কাজ করছে চিনা প্রশাসনও। চিনের প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাণিজ্য ক্ষেত্রে ঋণ ও করে ছাড় দেবে সরকার, যাতে অর্থনীতির উপর আঘাত না পড়ে।