গত বছরেই উদ্বোধন হয়েছে এই বিমানবন্দর। অন্যান্য দেশের সঙ্গে এই শহরকে জুড়ে রাখতে সাহায্য করবে নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই শহরের পর্যটনের প্রাণকেন্দ্রে পৌঁছতে বিমানবন্দর থেকে লাগবে মাত্র ১৫ মিনিট।
এই শহরের সমস্ত হোটেলগুলিকে ‘ওয়েলনেস সেন্টার’ হিসেবে তৈরি করা হয়েছে। আশপাশের পর্যটনস্থলগুলি ঘুরে দেখার পাশাপাশি অনায়াসে হোটেলের ওয়েলনেস প্রোগ্রামগুলিতেও অংশগ্রহণ করা যেতে পারে। আলেকজান্ডার ওভচারভ নামে পর্যটন কেন্দ্রের এক চিকিৎসক বলেন যে, আমাদের ওয়েলনেস প্রোগ্রামগুলি মূলত ইবন সিনার দর্শনের উপর ভিত্তি করেই তৈরি করা হয়েছে। আসলে এই ইবন সিনা-ই ছিলেন আধুনিক ঔষধের জনক। পূর্ব এবং পশ্চিমের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়কে তিনি একসঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাঁর বিশ্বাস ছিল, মন-মেজাজ ভাল না থাকলে শরীরও ভাল থাকবে না।
advertisement
ওই চিকিৎসক আরও বলেন যে, প্রেশার চেম্বার হল অ্যান্টি-স্ট্রেস প্রোগ্রামের মূল উপাদান। অক্সিজেন স্যাচুরেটেড একটি চেম্বারের মধ্যে গ্রাহককে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আর সবথেকে বড় প্রভাব রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেরাপির। যেখানে ক্ষতিকর উপাদান অক্সিডাইজ করা হয় এবং তা দেহ থেকে বাইরে বার করে দেওয়া হয়। ফলে এটাই হল নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার সবথেকে ভাল উপায়।
পশ্চিম এবং পূর্ব দিকের ওয়েলনেস সংক্রান্ত বিষয়কে মিলিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে ইবন সিনার যে আইডিয়া, তা বিভিন্ন ভাবে প্রয়োগ করা হয়। আবার মানসিক চাপ মুক্ত করার জন্য অ্যান্টি-স্ট্রেস থেরাপির জন্য রয়েছে সল্ট রুমও। আর এক চিকিৎসক সুলতান মুরাদভ বলেন যে, সল্ট রুম শ্বাসতন্ত্র, কার্ডিওভাস্কুলার সিস্টেম এবং থাইরয়েড গ্রন্থির জন্য সহায়ক। এটা আসলে এক ধরনের অ্যান্টি-স্ট্রেস থেরাপি। অ্যালার্জির জন্য তো খুবই কার্যকর।
সল্ট রুমে মূলত দুই ধরনের লবণ থাকে। এক ধরনের লবণ হিমালয়ের অংশ থেকে আসে, তো আর এক ধরনের লবণ আসে উরালের অংশ থেকে। এই রুমে থাকলে এক ঘণ্টার মধ্যেই মনের চাপ কাটতে শুরু করে। সমরখন্দের সিল্ক রোড হোটেলগুলিতে বিভিন্ন রকম ওয়েলনেস অফার পাওয়া যায়। এখানকার পাঁচতারা হোটেল মিনইয়ুনে মিলবে অত্যাধুনিক ওয়েলনেস অফার। এর মধ্যে অন্যতম হল স্যান্ড ম্যাসাজ। এর জন্য কোয়ার্ৎজ বালির উপর শুয়ে পড়তে হবে। তার পর একজন বালি মাস্টার বিশেষ বালি ভর্তি ব্যাগের মাধ্যমে ম্যাসাজ করে থাকেন।
এর পাশাপাশি খানাপিনার বন্দোবস্তও অসামান্য। স্বাস্থ্যকর সমস্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে এক ধরনের স্যালাড। শাসক তৈমুরের স্ত্রী বি বি খানুমের নামে এই স্যালাডের নামকরণও করা হয়েছে। আর এর প্রধান উপকরণ হল সম্রাজ্ঞীর প্রিয় ফল নাসপাতি। ক্যামেল হানি ব্যবহার করে অনন্য উপায়ে নাসপাতিকে ক্যারামেলাইজ করা হয়। আর সব শেষে এই স্যালাড খাওয়া দারুণ স্বাস্থ্যকর।