রাশিয়া ও ইউক্রেনের সামরিক সংঘর্ষ থেকে বিষয়টি ধীরে ধীরে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি উত্তেজনায় রূপ নিচ্ছে। আমেরিকা রাশিয়ার উপর সরাসরি চাপ সৃষ্টি করছে, আর রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে সরাসরি প্রকাশ হচ্ছে। সুপারপাওয়ার হিসেবে আমেরিকার প্রভাব দেখানো হচ্ছে, কিন্তু রাশিয়াও এমন পরিস্থিতিতে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয়। ট্রাম্প ও আমেরিকা, যারা নিজেকে নিরস্ত্রতার পূর্বসূরী বলে দাবি করেন, তারাই এখন ভয়েস ডিপ্লোমেসি ও শক্তির মধ্যে ফাঁদে পড়েছেন।
advertisement
রাশিয়া ঘোষণা করেছে যে তারা INF (Intermediate‑Range Nuclear Forces) চুক্তির প্রতিপালন বন্ধ করবে এবং ৫০০ থেকে ৫৫০০ কিলোমিটার দূরত্বে আঘাত করতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পুনরায় মোতায়েন করবে। এই সিদ্ধান্ত জানানো হয় একদম ট্রাম্পের নির্দেশের পরই, যেখানে আমেরিকা দুটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় পাঠায়।
দিমিত্রি মেদভেদেভ সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেন, “নাটো দেশগুলোর ভীতি ও হুমকির কারণে রাশিয়া অবশেষে INF চুক্তি পরিত্যাগ করছে। আমরা প্রয়োজনীয় পরবর্তী পদক্ষেপও গ্রহণ করব।”
১৯৮৭ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট রনাল্ড রেগান ও সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচোভের মধ্যে স্বাক্ষরিত INF চুক্তি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। এতে ৫০০‑৫৫০০ কিমি পর্যন্ত দূরত্বে আঘাত করতে সক্ষম মিসাইল নিষিদ্ধ করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় টিপ্পনি ও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার পর আমেরিকা তার মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক কর্মকর্তা স্টিভ উইটকফকে রাশিয়ায় পাঠাচ্ছে। ট্রাম্প নিজে সংবাদমাধ্যমকে এ কথা নিশ্চিত করেছেন এবং ক্রেমলিনও জানিয়েছে, আগামী তিন দিনের মধ্যে উইটকফ রাশিয়ায় পৌঁছাবেন এবং আমেরিকার অবস্থান রাশিয়ার কাছে উপস্থাপন করবেন।