ইউক্রেনীয় বাহিনী অবশ্য পাল্টা প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। শেষমেশ পাঁচ সপ্তাহ তুমুল লড়াইয়ের পর বুচা এলাকা থেকে সরে যায় রুশ বাহিনী। রুশ সৈন্যদের শেষ দলটি গত শুক্রবার বুচা থেকে সরে যাওয়ার পর সেই শহরে ঢোকে সংবাদমাধ্যম। আর সেখানে ঢুকেই বোঝা যায় রুশ বাহিনী কেন গতি হারিয়েছিল ওই শহরে।
আরও পড়ুন: পুলিশে ভরসা নয়, আরও এক সাড়া জাগানো মামলায় CBI তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের!
advertisement
রাশিয়ার অবশ্য দাবি, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে যুদ্ধের দিকে মনোযোগ বাড়ানোর জন্যই তারা কিভ থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করেছে। রুশ সেনাদের দাবি, মধ্য ইউক্রেনে তাদের বাহিনীর যে লক্ষ্য ছিল, তা ইতোমধ্যে পূরণ হয়ে গিয়েছে। আসলে কিভ দখলের কোনো পরিকল্পনাই তাদের ছিল না। যদিও ইউক্রেনের পাল্টা দাবি, তাঁদের সেনার অপ্রত্যাশিত প্রতিরোধই রুশ বাহিনীকে কিভের বাইরে ঠেকিয়ে দিয়েছে। বুচার রাস্তায় আগুনে পোড়া ও গলে যাওয়া দীর্ঘ সামরিক বহরই তার প্রমাণ।
আরও পড়ুন: প্রতিদিন ৭০ টাকা বিনিয়োগ করে লাখপতি, মিলবে সুদের উপর সুদ, দেখুন কীভাবে!
ইউক্রেনে হামলার শুরুর দিকেই হেলিকপ্টারে নামা রুশ সেনাদের বারবার প্রতিরোধের মুখে পড়তে হয়েছে। রুশ বহরের ওপর ইউক্রেনীয় বাহিনী তুরস্ক থেকে আনা বেরাকতার অ্যাটাক ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ইউক্রেনের স্বেচ্ছাসেবক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরাও সে সময় ওই এলাকায় তৎপর ছিল। বুচার স্থানীয় বাসিন্দারাও জানাচ্ছেন, ইউক্রেনীয় প্রতিরোধ বাহিনীর হামলায় রুশ বহরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, অনেককে আটকও করা হয়।