এই প্রসঙ্গে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক বলেন, ‘কঠোর নিয়ম অভিবাসন কমাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি নিশ্চিত করবে এই নীতিতে শুধুমাত্র দেশের উপকার হবে’। এক্স প্ল্যাটফর্মে তিনি লিখেছেন, ‘অভিবাসনের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে আজ আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছি। এই পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে যে অভিবাসনের ফলে ইংল্যান্ড যেন উপকৃত হয়’।
advertisement
আরও পড়ুন: ২২জন বাচ্চার মা! রান্না করতে করতেই দিন কাবার তরুণীর, ছবি দেখলেই বুঝবেন অবস্থা!
অম্য একটি পোস্টে সুনক লিখেছেন, ‘নেট মাইগ্রেশনে সবচেয়ে বড় কাটছাঁট করেছি আমরা। এর আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী এমনটা করেননি। কিন্তু নেট মাইগ্রেশনের মাত্রা অনেক বেশি। এর পরিবর্তন দরকার। আমি এই কাজ করতে বদ্ধপরিকর’। উল্লেখ্য, পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে ইংল্যান্ডে নেট মাইগ্রেশনের সংখ্যা ৬৭২,০০০।
আরও পড়ুন: চাঁদে কি মানুষের নামা হবে না, ফের পিছলো NASA-র স্বপ্নের প্রজেক্ট, পেছনে কোন গুপ্ত কারণ
নয়া ভিসা নীতিতে কোপ পড়বে ভারতীয়দের উপরেও। ইংল্যান্ডের স্বরাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লেভারলি হাউস অফ কমন্সে বলেছেন, ‘কঠোর অভিবাসন ক্র্যাকডাউনের ফলে ভারতীয়রাও প্রভাবিত হবেন। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ভিসায় আর পরিবারের সদস্যদের আনার অনুমতি দেওয়া হবে না’।
প্রসঙ্গত, স্কিলড ভিসার জন্য বেতন থ্রেশহোল্ড জিবিপি ২৬,২০০ থেকে জিবিপি ৩৮,৭০০ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই থ্রেশহোল্ড পারিবারিক ভিসার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। বর্তমানে পারিবারিক ভিসায় ১৮,৬০০ জিবিপি নির্ধারিত রয়েছে। ক্লেভারলি ন্যায্য, সামঞ্জস্যপূর্ণ, আইনি, এবং টেকসই অভিবাসন নীতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন।
ক্লেভারলির অনুমান, এই ভিসা নীতি লাগু হলে, আগের বছরের তুলনায় অন্তত ৩০ হাজার কম লোক ইংল্যান্ডে আসবে। এ জন্য পাঁচ দফা পরিকল্পনা পেশ করেছেন তিনি, যা ২০২৪ সালের শুরু থেকে কার্যকর হবে। উচ্চশিক্ষার জন্য ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রেও নয়া রূপরেখা তৈরি করছে ইংল্যান্ড সরকার। মনে করা হচ্ছে, এ ক্ষেত্রেও ভিসা নীতি কঠোর করা হতে পারে।