গত সপ্তাহেই রাশিয়ার বৈশ্বিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষেধাজ্ঞার অনুমোদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন। এই সংক্রান্ত একটি বিলে স্বাক্ষরও করেছেন তিনি। তারপর থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে। মস্কো স্পষ্ট জানিয়েছে, আমেরিকাকে টক্কর দেওয়ার মতো ক্ষমতা থাকা দরকার। প্রেসিডেন্ট পুতিন ক্রমাগত পারমাণবিক শক্তি বাড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘‘নিরাপত্তা সংক্রান্ত হুমকি মোকাবেলা করার জন্যই এই পরীক্ষা করা হয়েছে।’’
advertisement
আরও পড়ুন: কী ভাবে মারা যাবেন পুতিন? আয়ুই বা আর কতদিন, বলে গিয়েছেন বাবা ভাঙ্গা
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাশিয়ার উত্তর উপকূলের কাছে শ্বেত সাগরে অবস্থিত পারমাণবিক সাবমেরিন ‘ইম্পারেটর আলেকজান্ডার -৩’ থেকে বুলাভা ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়েছে। ক্ষেপণাস্ত্রটি সুদূর পূর্ব অঞ্চলের কামচাটকা উপদ্বীপের একটি লক্ষ্যবস্তুতে নিখুঁত আঘাত হেনেছে বলে জানা গিয়েছে।
এই পরীক্ষা ঠিক কবে হয়েছে তা বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি অবশ্য। তবে জানা গিয়েছে, ‘ইম্পারেটর আলেকজান্ডার -৩’ নতুন বোরেই শ্রেণির পারমাণবিক সাবমেরিনগুলির মধ্যে একটি। বোরেই শ্রেণির সাবমেরিনে রয়েছে ১৬টি বুলাভা ক্ষেপণাস্ত্র এবং আধুনিক টর্পেডো ওয়ারহেড। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, ডিসেম্বরে ‘ইম্পারেটর আলেকজান্ডার ৩’ সাবমেরিন উৎক্ষেপণের অনুষ্ঠানে পুতিন স্বয়ং অংশ নিয়েছিলেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আগামী কয়েক দশক এটাই রাশিয়ার পারমাণবিক শক্তির প্রধান নৌবহর হিসেবে কাজ করতে পারে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হচ্ছে পরীক্ষার চূড়ান্ত পর্যায়, এরপর এটিকে নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, নৌবাহিনীর কাছে এই মুহূর্তে বোরেই শ্রেণির তিনটি পারমাণবিক শক্তিধর সাবমেরিন রয়েছে। একটির পরীক্ষা শেষ হয়েছে। তিনটি বর্তমানে নির্মাণাধীন।
অন্যদিকে, বুলাভা ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে জানাতে গেলে বলতে হয়, এটি ১২ মিটার দীর্ঘ। এর রেঞ্জ প্রায় ৮ হাজার কিলোমিটার। একসঙ্গে ৬টি পারমাণবিক অস্ত্র বহন করতে পারে এটি।