এই প্রসঙ্গে তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, “সিংহ দরবারে আগুন জ্বলছে। আমার মনে হয় না আমরা বেঁচে ফিরব। যে কোনও মুহূর্তেই আগুন আমাদের গ্রাস করবে। চারিদিকে এত ধোঁয়া যে শ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছে।
যশোদার এই আর্তি মুহূর্তেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এরপরেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় নেপাল সেনা। এরপরেই আগুনে জ্বলতে থাকা বাড়ি থেকে দ্রুত যশোদা-সহ তাঁদের একাধিক সহকর্মীদের উদ্ধার করা হয়।
advertisement
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদসংস্থা সিএনএন-টিভি18 কে এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে যশোদা বলেন, “আমাদের অফিস প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের ঠিক উল্টোদিকেই ছিল। সেই সময়েই ভয়াবহ আগুন লাগে। দাউদাউ করে গোটা অফিস জ্বলছিল। মনে হচ্ছিল মরেই যাব। এর মাঝেই বিক্ষোভকারীরা ভাঙচুর চালাতে থাকে। ওই ভয়ঙ্কর রাত আমি কোনওদিনও ভুলব না।”
আরও পড়ুন: নেপাল থেকে পালানোর ছক কেপি ওলির! কোথায় যেতে পারেন? মার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীকেও
সরকার বিরোধী আন্দোলনে মুখর হয়েছে নেপাল। নেপালের মূলত যুবদের হাত ধরে এক নতুন আন্দোলনের মুখ দেখল হিমালয়ের কোলে থাকা এই দেশ। জেন জির বা তরুণ প্রজন্মের এই আন্দোলনে ক্রমেই হিংসাত্মক রূপ নেয়। ভাঙচুর থেকে একাধিক ভবনে আগুন ধরানো বাদ যায়নি কিছুই। এরপরেই পদত্যাগ করেন সে দেশের প্রধানমন্ত্রী। এখন পাহাড়ি এই ছোট্ট দেশে শান্তি ফিরুক সেটাই চাইছেন নেপালের জনসাধারণ।