দু' দিন বাদেই চিনা কমিউনিস্ট দলের পার্টি কংগ্রেস শুরু হবে৷ এই পার্টি কংগ্রেসেই তৃতীয় বারের জন্য চিনের প্রেসিডেন্ট পদে জিনপিংয়ের নির্বাচিত হওয়ার কথা৷ তার ঠিক আগে মূলত জিনপিং সরকারের কঠোর কোভিড নিয়ন্ত্রণ নীতির বিরোধিতা করেই এই বিক্ষোভ প্রদর্শিত হয়৷
আরও পড়ুন: প্রকৃতির তাণ্ডব নেপালে, অসংখ্য মৃত্যু, পাহাড় ভেঙে নেমে এল জল, ভয়ানক কাণ্ড
advertisement
বেজিংয়ের সিটং সেতুতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় দু'টি বড় বড় ব্যানার৷ তার মধ্যে একটি ব্যানারে লেখা ছিল, 'কোভড পরীক্ষায় না বলুন৷ খাবার দাবি করুন৷ লকডাউন মানবেন না, স্বাধীনতা চান৷ মিথ্যেকে সমর্থন নয়, আত্মসম্মানের পক্ষে থাকুন৷ কোনও সাংস্কৃত আন্দোলন নয়, সংস্কারের পক্ষে আওয়াজ তুলুন৷ মহান কোনও নেতাকে সমর্থন নয়, ভোটের পক্ষে মত দিন৷ ক্রীতদাস হয়ে থাকবেন না, নাগরিক হিসেব বাঁচুন৷'
অন্য একটি ব্যানারে লেখা ছিল, 'ধর্মঘট করুন, একনায়ক এবং জাতীয় বিশ্বাসঘাতক শি জিনপিং-কে ক্ষমতাচ্যুত করুন৷'
শি জিনপিংয়ের একনায়তান্ত্রিক শাসনের অবসান চেয়ে একাধিক ছবি এবং ব্যানার ঝোলানো হয়৷ সঙ্গে সঙ্গে সেই সমস্ত পোস্টার, ব্যানারের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়৷ চিনের নাগরিকদের মধ্যেও জোর চর্চা শুরু হয়৷
আরও পড়ুন: খোঁজ মিলল কেরলে, বাংলাদেশেও মিলেছিল এক ভয়ঙ্কর নরখাদকের খোঁজ! জানলে শিউরে উঠবেন সেই ঘটনা
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই চিনের পুলিশ- প্রশাসন তা ধামাচাপা দিতে তৎপর হয়ে ওঠে৷ একদিকে চিনা প্রশাসন যাবতীয় সামাজিক মাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যম থেকে এই বিক্ষোভ সংক্রান্ত ছবি, খবর সরাতে তৎপর হয় ওঠে৷ অন্যদিকে চিনা পুলিশ দাবি করে, এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি৷
যে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই বিক্ষোভের ছবি পোস্ট করা হয়েছিল, তার কয়েকটিকে ব্লকও করে দেওয়া হয়৷ ২০১২ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন শি জিনপিং৷ আগামী রবিবার পার্টি কংগ্রেস শেষে দলের নেতা হিসেবে তৃতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বসার কথা তাঁর৷ এই মুহূর্তে অতিমারী নিয়ন্ত্রণ নীতির অংশ হিসেবে লক্ষ লক্ষ মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বাধ্য করেছে শি জিনপিং সরকার৷ যা নিয়ে চিনের সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে৷