শি জিনপিং ভারতকে ‘দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিকোণ’ থেকে নয়াদিল্লি-বেইজিংয়ের সম্পর্ককে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। দুই দেশের ২০৮ কোটি মানুষের স্বার্থ জড়িয়ে আছে ভারত-চিন সম্পর্কের সঙ্গে, জিনপিংকে জানালেন মোদি। স্পষ্টতই রবিবারের বৈঠকের পর আমেরিকা নির্ভর বানিজ্য নয়, বহুমুখী বিশ্বের প্রতি দুই দেশেরই লক্ষ্য।
advertisement
রবিবার তিয়ানজিংয়ে হওয়া ভারত-চিন বৈঠক সফল, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এর আগে কাজানে বৈঠক করেছিলেন মোদি এং শি। সেই বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘গত বছর কাজ়ানে আমাদের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছিল। তাতে আমাদের সম্পর্ক ইতিবাচক একটা দিশা পেয়েছিল। সীমান্তে বিরোধের পরবর্তী সময়ে ভারত এবং চিনের মধ্যে শান্তি ও স্থিতিশীলতার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কৈলাস মানস সরোবর যাত্রা আবার শুরু হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান পরিষেবাও চালু হয়েছে।’’
অন্যদিকে ড্রাগন এবং হাতির পাশাপাশি আসা বিশ্বের জন্য উপকারী, এমনই বার্তা দিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। শি জিনপিং বলেন, ‘‘বিশ্ব রূপান্তরের দিকে যাচ্ছে। চিন এবং ভারত দুটি সবচেয়ে সভ্যতাগত দেশ। আমরা বিশ্বের দুটি সবচেয়ে জনবহুল দেশ এবং গ্লোবাল সাউথের অংশ… বন্ধু হওয়া, একটি ভাল প্রতিবেশী হওয়া এবং ড্রাগন এবং হাতির একসঙ্গে আসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’
তবে ভারত-চিন সম্পর্কের অবনতি হয় গালওয়ান উপত্যকায় চিনের সৈন্যের সঙ্গে ভারতীয় সেন্যের সংঘর্ষের পর। গালওয়ানের ক্ষত মিটিয়ে পাশাপাশি আসতে চায় দুই দেশ। ভারতের উপর ইতিমধ্যেই ৫০% ট্যারিফ চাপিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অন্যদিকে, চিনের উফর ২০০% ট্যারিফ চাপানোর হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। এশিয়ার দুই শক্তিধর দেশ ভারত এবং চিনের হাত মেলানো যে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের জন্য একটি বড় বার্তা বলেই মনে করছে বিশ্বের রাজনৈতিক মহল।