শুধু অ্যান্ডারসনই নন, একই কথা বলছেন ওই বিমানসংস্থার বহু বিমানচালক। যাঁরা পদোন্নতির পরীক্ষায় পাশ করলেও পদ গ্রহণ করতে অস্বীকার করছেন। যার ফলে ক্যাপ্টেনের প্রচুর পদ ফাঁকাই পড়ে থাকছে। এমনটাই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ এবং বিমানসংস্থার আধিকারিকরা। ক্যাপ্টেন হলেন প্রধান পাইলট। আর ক্যাপ্টেনের অভাবে আগামী এক বছরের মধ্যে উড়ানের সংখ্যাও কমে যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিমানবন্দরের ধাঁচে স্টেশন, অমৃত স্টেশনের ১৩০৯টিতে দারুণ সুবিধা! কী কী থাকবে জানুন
এখানেই শেষ নয়, কিছু কিছু ছোট আঞ্চলিক উড়ানও কমেছে। মূলত কর্মীদের ঘাটতির জেরে প্রায় ২০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে উড়ান। এমনটাই জানালেন প্রাক্তন এয়ারলাইন একজিকিউটিভ রবার্ট মান। তাঁর আশঙ্কা, যদি পাইলটরা ক্যাপ্টেনের পদ নিতে অস্বীকার করেন, তাহলে ইউনাইটেডের মতো বিমানসংস্থাগুলি প্রবল সমস্যার সম্মুখীন হবে। কারণ একই উড়ানে দুজন ফার্স্ট অফিসার থাকতে পারেন না। আসলে একজন ক্যাপ্টেন থাকা আবশ্যক।
একই সমস্যা দেখা গিয়েছে আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ক্ষেত্রেও। পরিসংখ্যান বলছে, ওই বিমান সংস্থার প্রায় সাত হাজারেরও বেশি বিমানচালক ক্যাপ্টেন পদ অস্বীকার করেছেন। আমেরিকান পাইলটস ইউনিয়নের মুখপাত্র ডেনিস ট্যাজের জানান যে, বিগত ৭ বছরে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক বিমানচালক পদোন্নতি অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: নিকোপার্কে রাইড চড়াকে কেন্দ্র করে বচসা, সিনিয়র অফিসারকে মারধর করে গ্রেফতার পাঁচ!
কিন্তু এর কারণ কী? ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বেশ কিছু বিমানচালক সংবাদমাধ্যমের কাছে জানিয়েছেন যে, সিনিয়র ফার্স্ট অফিসাররা পদোন্নতি চান না, কারণ তাঁরা জুনিয়র ক্যাপ্টেন হওয়ার জন্য সিনিয়রিটি হাতছাড়া করতে চাইছেন না। আর ব্যক্তিগত জীবনে ব্যাঘাত ঘটার আশঙ্কাও অন্যতম বড় কারণ। এখানেই শেষ নয়, বিমানচালকদের দাবি, তাঁদের ডে-অফের দিনগুলিতেও তাঁদের কাজ করতে বাধ্য করা হতে পারে। এমনকী ট্রিপ পরিবর্তন কিংবা তার মেয়াদ বাড়ানোও হতে পারে। যদিও শোনা যায় যে, নতুন পাইলট চুক্তিতে ডেল্টা এবং আমেরিকান এয়ারলাইন্স এই পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান তুলে ধরার চেষ্টা করেছে।
তবে ৪৮ বছর বয়সি ইউনাইটেডের ফার্স্ট অফিসার ফিল অ্যান্ডারসন ইন্ডিয়ানার বাসিন্দা তিন সন্তানের জনকের কথায়, “আমি ক্যাপ্টেন পদ গ্রহণ করলে হয়তো আমার বেতন ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারত। কিন্তু এর জন্য আমাকে অনেক বড় মূল্য চোকাতে হত। আসলে ক্যাপ্টেন পদের দায়িত্ব নিলে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যেত। আর প্রতি সপ্তাহান্তে হয়তো সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে হত।”