Diwali in Pakistan: পাকিস্তানে কি আদৌ কোনও হিন্দু বেঁচে আছে! শেহবাজ শরিফ দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানাতেই হলেন ট্রোল

: দিওয়ালি উপলক্ষ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ তাঁর দেশ এবং বিশ্ব জুড়ে হিন্দু সম্প্রদায়কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি অন্ধকারের উপর আলোর এবং মন্দের উপর ভালোর বিজয়ের কথা বলেন এবং ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের শান্তি ও সাম্যের সঙ্গে বসবাস করতে পারা উচিত। কিন্তু এই ট্যুইটটি প্রকাশ্যে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পাকিস্তান এবং ভারত উভয় পক্ষ থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়ার বন্যা বয়েছে৷

শাহবাজ শরিফ লিখেছেন, ‘‘দীপাবলির শুভ উপলক্ষে, আমি পাকিস্তান এবং বিশ্ব জুড়ে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়কে আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। এই উৎসব অন্ধকার দূর করুক, সম্প্রীতি বৃদ্ধি করুক এবং আমাদের সকলকে শান্তি, করুণা এবং  সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করুক।’’ তিনি আরও লিখেছেন যে দীপাবলির বার্তা আশা, ঐক্য এবং সহনশীলতার বার্তা, এবং প্রতিটি দেশের উচিত নিশ্চিত করা যে প্রতিটি নাগরিক, তাদের ধর্ম বা পটভূমি নির্বিশেষে, শান্তিতে বসবাস করতে পারে। এই বক্তব্যটি হয়তো ভালো শোনাচ্ছিল, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ শহবাজ শরিফকে একেবারে ট্রোলের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে৷ Photo Courtesy- Shebaz Sharif/ X Account

প্রধানমন্ত্রী শরিফের পোস্ট প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে #HindusInPakistan এবং #DiwaliInPakistan ট্রেন্ডিং শুরু করে। নেটিজেনরা শরিফের দ্বিচারিতার তীব্র নিন্দা করেছেন৷  তিক্তভাবে লিখেছেন, "১৯৪৭ সালে, ২০% হিন্দু ছিল। ২০২৫ সালে, মাত্র ২.৩% অবশিষ্ট রয়েছে।" সম্ভবত ২০৪০ সালের মধ্যে, দিওয়ালির শুভেচ্ছা কেবল আন্তর্জাতিকভাবে পাঠানো হবে। আরেকটি মন্তব্যে লেখা ছিল, "পাকিস্তানে মাত্র ১০-১২ জন হিন্দু অবশিষ্ট আছে। আপনি তাঁদের সরাসরি ডিএম করতে পারেন।" Photo Courtesy- Shebaz Sharif/ X Account

অনেক ব্যবহারকারী শরিফের দীর্ঘ বার্তাটির সমালোচনা করে লিখেছেন, "এত দীর্ঘ বার্তা দেখে ভাল লাগছে, কিন্তু শব্দগুলি খালি মনে হচ্ছে।" একজন ভারতীয় ব্যবহারকারী তীব্র মন্তব্য করেছেন, "আপনি অন্ধকারে আলো আনার কথা বলেন, কিন্তু আপনার শাসনকালে পাকিস্তানের হিন্দু বাড়িগুলি আরও বেশি অন্ধকারে রয়েছে।"

জোরপূর্বক ধর্মান্তর, মন্দিরে আক্রমণ এবং অপহরণের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন এবং স্থানীয় এনজিও জানিয়েছে যে জোরপূর্বক ধর্মান্তর, মন্দিরে আক্রমণ এবং কিশোরী মেয়েদের অপহরণের ঘটনা পাকিস্তানে হিন্দু ও শিখ সংখ্যালঘুদের উপর প্রভাব ফেলছে।

পাকিস্তানে কি দিওয়ালি উদযাপিত হয়?সিন্ধুতে, থারপারকার, উমেরকোট, মিরপুরখাস এবং করাচির মতো অঞ্চলে এখনও হিন্দু সম্প্রদায় ছোট পরিসরে দীপাবলি উদযাপন করে। তবে, নিরাপত্তার কারণে, অনেক মন্দিরে এবারও সীমিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। অনেক জায়গায়, স্থানীয় প্রশাসন শান্তিপূর্ণভাবে পূজা বা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করার জন্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখছেন, "আমরা আর প্রকাশ্যে উদযাপন করতে পারছি না। আমরা সমালোচনার ভয় পাই, তবুও আমরা ঘরে প্রদীপ জ্বালাই কারণ অন্ধকারের মধ্যে প্রদীপ জ্বালানোই আসল দীপাবলি।"