এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট গবেষণার সঙ্গে যুক্ত আমেরিকার ইন্ডিয়ানার পার্দ্যু ইউনিভার্সিটির (Purdue University) গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণের সময়ে একটা বিষয় লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই প্রাণীরা ভিডিও গেম ও জয়স্টিক ব্যবহারের মাঝে সংযোগসূত্রটাকে বেশ ভালো করেই বুঝতে পেরেছিল। তাই কয়েক মাসের মধ্যেই ভিডিও গেমে দক্ষ হয়ে ওঠে। এক্ষেত্রে শূকরগুলি একটি লেভেল শেষ করলেই রিওয়ার্ড হিসেবে তাদের খাবার দেওয়া হত। মজার বিষয়টি হল, ফুড রিওয়ার্ড শেষ হলেই, এমনকি অনেক সময় তা না থাকলেও ফের খেলতে শুরু করে দিত শূকরগুলি। তাদের মধ্যে যেন অদ্ভুত একটা অভ্যাস তৈরি হয়ে গিয়েছিল। এ নিয়ে এই সমীক্ষার লেখক ড. কেনডেস ক্রোনে (Candace Croney) জানান, এই ধরনের গবেষণার একটা বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। কারণ এই ধরনের প্রশিক্ষণ বা সমীক্ষার মধ্য দিয়ে অন্য প্রাণীদের সঙ্গে মানুষের বোঝাপড়ার দিকটা আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
advertisement
গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, পুরো প্রশিক্ষণে একাধিক মজার তথ্য উঠে এসেছে। কারণ অন্য প্রাণীদের মতো এদের নির্দিষ্ট কোনও সুগঠিত হাত নেই। হাতের তালু বা আঙুলও নেই। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেদের নাক ব্যবহার করেই ভিডিও গেম খেলতে শুরু করেছে এই প্রাণীরা। এমনকি গেমের বেশ কয়েকটি লেভেল শেষ করতে গিয়ে রীতিমতো আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছিল তারা। যা সত্যিই আলোচনার বিষয়বস্তু। এ থেকে ভবিষ্যতে শূকরকে নিয়ে অন্যান্য গবেষণার পথও খুলতে পারে।
এক্ষেত্রে প্রথম দু'জন অর্থাৎ হেমলেট ও ওমেলেটের তুলনায় অপেক্ষাকৃত ধীরগতি সম্পন্ন ছিল ইবনি ও আইভরি। যে সময়ের মধ্যে হেমলেট বা ওমেলেট নিজেদের লেভেল শেষ করছিল। তার থেকে অনেকটা বেশি সময় নিচ্ছিল বাকি দু'জন। তাই খেলার দক্ষতার ক্ষেত্রে কিন্তু সমান ছিল না চারটি শূকর। গবেষকদের কথায়, ঠিক এখানেই আরও বিস্তারিত গবেষেণার অবকাশ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও শিম্পাঞ্জি ও বানরের উপরে এই ধরনের গবেষণা করা হয়েছে। তবে তাদের ক্ষেত্রে হাত, হাতের তালু ও আঙুল ব্যবহারের সুবিধা ছিল। শূকরের ক্ষেত্রে কিন্তু বিষয়টি অভিনব!
