আসলে মহিলা প্রশ্ন করেন যে, “প্রচুর বেশি বেশি বিদ্যুতের বিল আসছে। তাই এমন কোনও উপায় বলুন, যার মাধ্যমে বিদ্যুতের বিলের বোঝা কমানো যায়?” এই প্রশ্নের জবাবে আত্মবিশ্বাসের ভঙ্গিতে আধ্যাত্মিক সমাধান বাতলে দিলেন ওই মৌলানা।
তিনি বলেন যে, “আপনারা যদি চান, বিদ্যুতের বিল অনেকটাই কমে যায়, তাহলে একটা আধ্যাত্মিক উপায় রয়েছে। এর জন্য আপনার তর্জনী আঙুল দিয়ে মিটারের উপর লিখে দিতে হবে জম জম। মাসে ২ বার করে এটা লিখতে হবে – আজ একবার লিখুন। এর ১৫ দিন পর আর একবার লিখুন। ঈশ্বর চাইলে, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি যে, আপনাদের বিল অনেকটাই কমে যাবে।”
advertisement
এই ভিডিওটির সঙ্গে রয়েছে একটি ক্যাপশনও। তাতে লেখা হয়েছে, “ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের বিলের মুখোমুখি হচ্ছেন? পাকিস্তানের এই মৌলানার কাছে রয়েছে ঐশ্বরিক সমাধান।” যার জেরে নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। মৌলানার পরামর্শ নিয়ে অবশ্য অনলাইনে হাসির রোলও উঠেছে। দেড় লক্ষের কাছাকাছি ভিউ পার করেছে ভিডিওটি। এক ব্যবহারকারী বলেন যে, “আমি এটা চেষ্টা করেছিলাম। এখন সরকারই আমায় বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য টাকা দিচ্ছে।” অন্য একজন বলেন যে, “ভাগ্যিস, বিলের বোঝা কমানোর জন্য কোনও জিনকে সাহায্যের জন্য ডাকার কথা বলেননি উনি।” আর একজন লিখেছেন যে, “জম জম লিখতে গিয়েছিলাম। যম কারেন্ট লাগিয়ে দিয়েছে।”
অন্যদিকে আবার একজন নেটিজেন লিখেছেন, “এটা সত্যি! আমি চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ইলেকট্রিক বিল কমেনি। কিন্তু ওরা ভেবেছিল যে, আমি জ্যামের বিজ্ঞাপন করছি। আর Kissan আমায় বখশিস হিসেবে ১০০ টাকা দিয়ে গিয়েছে।” অন্য একজন কমেন্টে লিখেছেন যে, “লিখে দিয়েছি মৌলানা সাহেব… কিন্তু এখন বিদ্যুতের বিল তো দ্বিগুণ আসছে।” প্রসঙ্গত, মৌলানার বাতলে দেওয়া ঐশ্বরিক ওই সমাধান অর্থাৎ ‘জম জম’-এর অর্থ হল সৌদি আরবের মক্কার পবিত্র জলাধারের জমজম জল। এটাকে পবিত্র এবং আশীর্বাদী রূপে গণ্য করেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, পবিত্র এই জলের মধ্যে চমকপ্রদ গুণ রয়েছে। যা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারে।