যেখানে শেষ করেছিলেন সেখান থেকেই শুরু করলেন কুলভূষণের হয়ে সওয়ালকারী আইনজীবী হরিশ সালভে। কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড নিয়ে একের পর এক যুক্তি তুলে ধরে সওয়াল করলেন সালভে।
ভারতীয় চর ও বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে পাকিস্তানে জেলে বন্দী কুলভূষণ। তাঁর মুক্তি চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন করে ভারত। এর ভিত্তিতে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় দ্য হেগের আদালত। কূলভূষণের পক্ষে মূলত তিনটি যুক্তিকে ঢাল করে এগোতে চাইছেন সালভে । বহু অনুরোধেও কনসুলার অ্যাকসেস দেয়নি পাকিস্তান। কূলভূষণের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি ভারতীয় কূটনীতিকরা, যা ভিয়েনা কনভেনশন ও মানবাধিকার সনদের বিরোধী।
advertisement
কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডে সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছিল আন্তর্জাতিক আদালত। সামরিক আদালতে শুনানির গ্রহণযোগ্যতা নেই বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷
পাকিস্তানের অভিযোগের সারবত্তা নেই। এফআইআর দায়ের হওয়ার আগেই কুলভূষণকে ভিডিও বার্তায় স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয় ৷ ভুয়ো টেপ ছাড়া পাকিস্তানের কাছে তথ্য-প্রমাণ নেই। একাধিক পাসপোর্টের অভিযোগও বানানো ৷ হেফাজতে থাকা অবস্থায় স্বীকারোক্তি আদায়ের ভিডিও টেপেরও কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই ৷ কোন অপরাধে মৃত্যুদণ্ডে তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন তথ্য ৷
শুনানিতে পাক প্রশাসনের কাছে তিনটি প্রশ্নের উত্তর চান সালভে
-কবে মিলবে কনসুলার অ্যাকসেস?
-পাক হেফাজকে শারিরীক ও মানসিক ভাবে কেমন আছেন কূলভূষণ?
- কূলভূষণের নিরাপত্তা নিয়ে কী পদক্ষেপ?
পুলওয়ামা ঘটনার ভারত-পাক সম্পর্কে এখন তীব্র টানাপোড়েন। তারই প্রতিফলন দেখা গিয়েছে দ্য হেগের আদালত চত্ত্বরেও ৷ পাক অ্যাটর্নি জেনারেল হাত মেলাতে চাইলেও নমস্কার জানিয়েছে সৌজন্য সারেন বিদেশমন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক।
গত ১৮ মে পাক জেলে বন্দী কুলভূষণের মৃত্যুদন্ডে স্থগিতাদেশ দেয় দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালত।