কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা খারিজ হতেই মঙ্গলবার পাক সংসদে দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার চব্বিশঘণ্টার মধ্যেই পাক জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিকে ডেকে কাশ্মীর থেকে তিনশো সত্তর প্রত্যাহারে দিল্লির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করল পাক সরকার। কূটনৈতিক মহলের দাবি, উপত্যকায় কেন্দ্রীয় শাসনে স্বাভাবিক ভাবেই চাপে ইসলামাবাদ। এই চাপ কাটাতে পালটা কৌশল হিসেবে মোদি সরকারের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্তকেই এখন আন্তর্জাতিক ইস্যু করতে মরিয়া ইসলামাবাদ। তার প্রাথমিক কৌশল হিসেবে তড়িঘড়ি কিছু সিদ্ধান্ত পাক সরকারের।
advertisement
অবিলম্বে ভারতে পাঠানো হবে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিশারিয়াকে। পালটা হিসেবে দিল্লি থেকে ফেরানো হচ্ছে পাক দূতকেও। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আর কোনও কূটনৈতিক অফিসারকে পাঠানো হবে না দিল্লিতে। কূটনৈতিক সিদ্ধান্তের পাশাপাশি কাশ্মীরের প্রতিবাদে আপাতত ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত ইসলামাবাদের। একসঙ্গে কমানো হবে কূটনৈতিক সম্পর্ক। রাষ্ট্রসংঘে প্রতিবাদ হিসেবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কাশ্মীর তুলবে পাকিস্তান।
কাশ্মীরে তিনশো সত্তর খারিজে সীমান্তে তৈরি হবে যুদ্ধ পরিস্থিতি। মঙ্গলবার এই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিলেন ইমরান খান। তাই নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনাকে আরও বেশি করে টহল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কূটনৈতিক মহলের মতে, কাশ্মীর প্রসঙ্গে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তে স্পষ্টত চাপে ইসলামাবাদ। এই পরিস্থিতিতে কাশ্মীর নিয়ে উদ্বেগ রাষ্ট্রসংঘের।