অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে এখন ইন্টারন্য়াশনাল মনিটারি ফান্ডের ঋণের দিকে তাকিয়ে রয়েছে শেহবাজ শরিফ সরকার। কিন্তু যেভাবে পাকিস্তানি টাকার দাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তাতে সেই সম্ভাবনাও ক্রমশ কমছে।
আরও পড়ুন: বালাকোট বিমান হামলার পরেই নাকি ভারত-পাক পরমাণু যুদ্ধ হতে হতে বেঁচেছিল, বলছে আমেরিকা
পাকিস্তানের শেহবাজ শরিফ সরকারের এখন সত্য়িই হাঁড়ির হাল! একদিকে বিদ্য়ুতের সঙ্কট, বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারও শূন্য়, সবমলিয়ে একের পর এক সমস্য়ায় তলিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। যাকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার পারদও চড়ছে। এই পরিস্থিতিতে এখন আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডারের দিকেই হাপিত্য়েশ করে তাকিয়ে রয়েছেন পাকিস্তান সরকারের শীর্ষ কর্তারা। এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে আইএমএফ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ইসলামাবাদ। কারণ আইএমএফ শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে কি না, ওই বৈঠকেই তার ইঙ্গিত মিলতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন: লজ্জার আঁধার! লাহোর থেকে করাচি, রাওয়ালপিণ্ডি থেকে ইসলামাবাদ অন্ধকারে ডুবে পাকিস্তানের অলিগলি
পাকিস্তান জুড়েই এখন ডলারের আকাল। পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রগুলিতে ডলার মিলছে না। ফলে ডলারের কালো বাজারি শুরু হয়ে গিয়েছে। নির্দিষ্ট দামের প্রায় দশ শতাংশ বেশি মূল্য়ে ডলার কিনতে হচ্ছে।
এই অবস্থায় পাকিস্তানের ফেডারেল বোর্ডের চেয়ারম্য়ান আসিম আহমেদ বর্তমান পরিস্থিতিকে সঙ্কটজনক বললেও তার থেকে দ্রুত বেরিয়ে আসার বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছেন। তাঁর দাবি, রাজস্ব আদায় কমে যাওয়াই দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট কমে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ৷ পাকিস্তান ফেডারেল বোর্ডের প্রধানের দাবি, সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে কর সংগ্রহ বৃদ্ধির উপরে জোর দেওয়া হয়েছে৷ যাঁরা এতদিন করের আওতায় ছিল না, তাঁদের থেকেও কর আদায় শুরু হবে৷