সংবাদ সংস্থা ANI-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে রুবিন বলেন, ভারত অত্যন্ত নিখুঁতভাবে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে এবং পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার বিষয়টাও থামিয়ে দিয়েছে। তাঁর মতে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী পুরোপুরিভাবে পরাজিত হয়েছে এবং এই বাস্তবতাকে অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। গোটা বিশ্বই সেটা জানে৷
আরও পড়ুন: ‘ভারতে কোম্পানি গড়তে চাই না!’ Apple সিইওকে ‘বিশেষ’ বার্তা ডোনাল্ড ট্রাম্পের…
advertisement
রুবিন বলেন, “পাকিস্তান যখন পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখানোর চেষ্টা করেছিল, ভারত তাদের প্রতিক্রিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল এবং পরবর্তীতে পাকিস্তান ফের হামলা চালাতে গেলে ভারত তাদের এয়ারফিল্ডগুলোকেও অকেজো করে দেয়। পাকিস্তান তখন যুদ্ধবিরতির চেষ্টা করতে করতে দৌড়ে পালিয়েছে ভীত কুকুরের মতো।”
তিনি আরও বলেন, “আসলে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এতটা খারাপভাবে হেরেছে, যে তার কোনো ব্যাখ্যা তারা দিতে পারবে না। এখন আসল প্রশ্ন হল, পাকিস্তান এরপর কী করবে।”
আরও পড়ুন: এবার ঘরে বসেই পেয়ে যাবেন হাতে! বার্থ সার্টিফিকেটের জন্য কীভাবে অনলাইনে আবেদন করবেন জানুন…
রুবিন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকেই দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেছেন৷ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন, “সেনাবাহিনী পাকিস্তানি সমাজের এক ক্যান্সার এবং সেইসঙ্গে তারা চূড়ান্ত অদক্ষ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, (পাক সেনাপ্রধান) আসিম মুনির তাঁর পদে টিকে থাকবেন কি না। পাকিস্তানের সেনা জেনারেলদের অহংকারই কি দেশের ভবিষ্যত ধ্বংস করবে?”
ভারতের হামলা কতটা সফল ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, রুবিন বলেন, “ভারত এই লড়াইয়ে কূটনৈতিক এবং সামরিক – দুই দিক থেকেই জিতেছে। কূটনৈতিকভাবে ভারত জিতেছে কারণ এখন সমস্ত নজর পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে মদতদানের দিকে ঘুরে গিয়েছে।”
তিনি বলেন, “যে পাকিস্তানি সেনা অফিসাররা সন্ত্রাসবাদীদের শেষকৃত্যে উপস্থিত হয়েছিল, তা প্রমাণ করে যে সন্ত্রাসবাদী আর ISI বা পাক সেনার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।”
রুবিন আরও বলেন, “পাকিস্তানের নিজের সমাজ থেকে পচা উপাদানগুলোকে সরাতে হবে। কূটনৈতিকভাবে ভারত আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে এবং সামরিকভাবে পাকিস্তান হতবাক হয়ে গেছে।”
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদীরা হামলা চালিয়ে ২৬ জন নিরীহ পর্যটককে হত্যা করে। এরপর ৭ মে ভারত ‘অপারেশন সিন্দুর’ চালিয়ে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে আক্রমণ করে। এই অভিযানে জইশ-ই-মহম্মদ, লস্কর-ই-তইবা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সংগঠনের ১০০-এর বেশি জঙ্গি মারা যায়।