রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রথমবার বক্তৃতা দিতে গিয়ে এমনই ভাষায় ভারতকে আক্রমণ করেন আব্বাসি ৷ তিনি দাবী করেন, কাশ্মীরের জনগণের সংগ্রামকে দমন করতে তাদের উপর নির্মম অত্যাচার চালাচ্ছে ভারত ৷ ওই অঞ্চলে অধিকার রক্ষায় কাশ্মীরিদের ন্যায্য সংগ্রামকে দমন করার জন্য ভারত প্রায় সাত লক্ষ সেনা মোতায়েন করেছে। এই অত্যাচার বন্ধে রাষ্ট্রসঙ্ঘের উচিত কাশ্মীরে বিশেষ দূত নিযুক্ত করা ৷
advertisement
এখানেই শেষ নয়, আব্বাসী ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদী কাজকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ করে ৷ একইসঙ্গে ভারতের উদ্দেশ্যে তাঁর হুমকি, নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত যদি কোনও উসকানিমূলক কাজ চালায় অথবা সীমিত যুদ্ধের চুক্তি ভঙ্গের চেষ্টা করে, তাহলে তার যোগ্য জবাব দেবে পাকিস্তান ৷
নিজের বক্তব্যে ১৭বার সাহিদ খাকান আব্বাসি কাশ্মীর প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন অবং ১৪ বার ভারতের নাম নিয়েছেন ৷ তাঁর অভিযোগ, ভারতই পাকিস্তানের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে চায় না ৷ তাই জম্মু ও কাশ্মীরের নিজস্ব প্রস্তাবনার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদকে আহ্বান করেন আব্বাসি ৷ কাশ্মীরের সমস্যার যথাযথ, শান্তিপূর্ণ এবং দ্রুত সমাধান চান তিনি ৷
রাষ্ট্রসঙ্ঘের অধিবেশনে আব্বাসী কাশ্মীরী মানুষদের উপর অত্যাচারের অভিযোগ তুলে বলেন, কাশ্মীরে সাধারণ মানুষদের উপর পেলেট গান ছুঁড়ে হাজার হাজার বাসিন্দা ও শিশুদের অন্ধ করে দিয়েছে ৷ জাতিসঙ্ঘের সামনে ভারতের এই সহিংস কাজের তদন্ত দাবি করে পাকিস্তান ,জম্মু ও কাশ্মীরে তদন্ত কমিশন প্রেরণ করার প্রস্তাব দেন ৷ "মানবাধিকার লঙ্ঘনের দোষারোপকারীদের" শাস্তি যাতে নিশ্চিত করা যায় এবং অত্যাচারিত মানুষগুলি যেন ন্যায়বিচার পায় ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সাহিদ খাকান আব্বাসির দাবী, চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি ৬০০বার লঙ্ঘিত হওয়া সত্ত্বেও সংযম বজায় রেখেছে পাকিস্তান ৷
উল্লেখ্য, আব্বাসীর ভাষণ চলাকালীন নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘের দফতরের বাইরে বালুচ ও সিন্ধি স্বাধীনতা সংগ্রামীরা পাকিস্তানকে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণার দাবি জানাচ্ছিলেন ৷