স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ৯৪টি দেশের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত শুল্ক তালিকা প্রকাশ করেছে আমেরিকা৷ তার মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের নামও৷ সেই তালিকা অনুযায়ী দেখা গিয়েছে, পাকিস্তানি দ্রব্যের উপরে আগে যেখানে ২৯ শতাংশ শুল্ক চাপানোর কথা বলা হয়েছিল, তা হঠাৎ করেই গিয়েছে ১০ শতাংশ কমে৷ পাকিস্তানের জন্য ট্রাম্পের পরিবর্তিত শুল্ক ১৯ শতাংশ৷
advertisement
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ এবং মায়ানমারের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ৷
গত শুক্রবারই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে পাকিস্তানের সঙ্গে বিশেষ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার কথা জানিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ সেই চুক্তি অনুযায়ী, আমেরিকার অর্থ সাহায্যে পাকিস্তানের খনিজ তৈল ও গ্যাস ভাণ্ডার থেকে জ্বালানি উত্তোলনের কথা জানানো হয়েছিল৷ এমনকি, ট্রাম্প কটাক্ষ করে এ-ও লিখেছিলেন, ‘এমন দিন না আসে যখন ভারতকে পাকিস্তানের থেকেই তেল কিনতে হয়৷’
সেই ঘোষণার ঠিক পরেই এবার আবারও শুল্ক কমানোর মতো বিশেষ সুবিধা পেল পাকিস্তান৷
প্রসঙ্গত, ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে লাঞ্চে আসিম মুনিরের বৈঠক, আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে নানা ভাবে ‘খুশি’ করে কাজ হাসিল করতে চাইছিল পাকিস্তান৷ সেই প্রচেষ্টাই কাজে লেগেছে বলে মনে করছেন অনেকে৷
অনেকের মতে, যেহেতু দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ার অন্যতম তেলের খনি রয়েছে পাকিস্তানে, তাই সেই তেলকে নিজেদের দখলে রাখতে পাকিস্তানের প্রতি বিশেষ বদান্যতার পরিচয় দিচ্ছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমেরিকা৷ আর পাকিস্তানকে ‘খুশি’ করতেই বলে চলেছে একের পর এক ভারত বিরোধী কথাবার্তা৷
যদিও দুই দেশের সম্পর্কে এই সাম্প্রতিক তিক্ততার কারণ হিসাবে, ভারতের রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করাকেই মূল কারণ হিসাবে জাহির করছে আমেরিকা৷