বিবিসি-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেশিরভাগ মানুষ বাড়ি ভেঙে চাপা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। বাকি যারা মারা গেছেন, তারা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অথবা বন্যার জলে ডুবে গেছেন।
আরও পড়ুন: লিভারের জন্য বিষের সমান এই খাবারগুলি! অবহেলায় ১২টা বাজবে শরীরের…
পঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি শহরে বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। বাসিন্দাদের ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। নাল্লা লেহ নদীর পাশের মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। যদিও ‘Geo News’ জানিয়েছে, টানা ১৮ ঘণ্টার বৃষ্টির পর বৃহস্পতিবার জলস্তর কমতে শুরু করে।
advertisement
এই মৃত্যু সংখ্যা মিলিয়ে এ বছর জুন মাসের শেষ দিক থেকে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ১৮০-তে, যার মধ্যে অর্ধেকই শিশু।
আরও পড়ুন: হাত-পায়ে সু*ইসা*ইড নোট, শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে বি*ষ খেয়ে চরম সিদ্ধান্ত মণীষার…
পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলায় রাস্তা, এক্সপ্রেসওয়ে, বিমান পরিষেবা বন্ধ। মুখ্যমন্ত্রী মরিয়ম নওয়াজ কয়েকটি জেলায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। চাকওয়াল জেলায় একদিনে ৪০০ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। নৌকা নিয়ে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে দমকল ও সেনাবাহিনী। হেলিকপ্টারে চলছে নজরদারি।
পাকিস্তানে দুটি প্রধান মৌসুমি ধারা—ওয়েস্টার্ন ডিস্টার্বেন্স ও সাউথওয়েস্ট মনসুন—এর সংঘাতে প্রায়শই এমন দুর্যোগ ঘটে। এর পাশাপাশি, দেশটিতে রয়েছে ১৩ হাজারের বেশি হিমবাহ, যেগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দ্রুত গলতে শুরু করেছে।
২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় যেখানে ১,৭০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, দেশের এক-তৃতীয়াংশ ডুবে গিয়েছিল, সেই স্মৃতি এখনো টাটকা। এবারও সেসব ভয় যেন ফিরে আসছে।