পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলির অবশ্য দাবি, জেলবন্দি ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) যে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থন করেছিল, তাঁদের মধ্যে অনেকেই এগিয়ে রয়েছেন। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাক সেনার সমর্থন নিয়ে এই নির্বাচনে বিপুল জয় পাওয়ার সম্ভাবনা ছিল নওয়াজ শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন)-এর। কিন্তু বাস্তব অত সহজ হচ্ছে না।
advertisement
সকাল ৬টা পর্যন্ত পাকিস্তানে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির মাত্র ৮টি আসনের ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। বেশিরভাগ আসনেই কড়া টক্কর চলছে পিটিআই সমর্থিত নির্দল এবং নওয়াজের পিএমএল-এন প্রার্থীদের মধ্যে।
যদিও পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডনে প্রকাশিত ফলাফল অনুসারে, ৯টি আসনের মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন ৪টি আসনে জয় পেয়েছে। আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)–সমর্থিত প্রার্থীরা ৩টি ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) ২টি আসনে জয় পেয়েছে।
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদের ২৬৬ আসনে সরাসরি ভোট হয়। নির্বাচনের আগে দুর্বৃত্তের গুলিতে এক প্রার্থী নিহত হওয়ায় একটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়েছিল আগেই। তাই বৃহস্পতিবার ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে। কোনও দল এককভাবে সরকার গঠন করতে চাইলে এবার ১৩৪টি আসনে জিততে হবে। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, পাকিস্তানে এবার কোনও দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নাও পেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, গত নির্বাচনে জয়ী দল পিটিআই–সমর্থিত প্রার্থীদের সঙ্গে পিএমএল-এনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। সেই আভাসই মিলছে।