হেলিকপ্টার এনে উদ্ধারকাজ শুরু করে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। শুরুর দিকে হেলিকপ্টার এসে ফিরে গেলেও আবার নতুন করে শুরু হয় উদ্ধারপর্ব। প্রথমে ২ জন স্কুলপড়ুয়াকে বার করে আনা হয়। তার পর একে একে কেবল কার থেকে বার করে আনা হয় বাকি ৬ পড়ুয়া এবং ২ প্রাপ্তবয়স্ককে। ১৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার গভীর রাতে দুর্ঘটনাগ্রস্ত কেবল কার থেকে মুক্ত হন তাঁরা।
advertisement
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই অভিযানে অসম্ভব দক্ষতার প্রয়োজন হয়েছে। উদ্ধারপর্ব সম্বন্ধে ট্যুইট করেছেন পাকিস্তানের তদারকি প্রধানমন্ত্রী আনওয়ার-উল-হক কাকরও। জানিয়েছেন প্রত্যেকটি বাচ্চাকে নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেনাবাহিনী, উদ্ধারকর্মী, জেলাপ্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
আটকে পড়া ছাত্রছাত্রীরা বাত্তঙ্গি পাশতো সরকারি হাই স্কুলের পড়ুয়া। স্কুলটি এত দুর্গম পাহাড়ি জায়গায়, যে সেখানে পৌঁছতে হলে রোপওয়ে ছাড়া উপায় নেই। স্কুলে যাওয়ার পথেই তারা বিভ্রাটের মুখোমুখি হয়। দুঃসহ অপেক্ষার মুহূর্ত কাটিয়ে তাদের ফিরে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস পরিবারে।