আরও পড়ুন - Rishi Sunak : চিনকে লাথি মেরে বের করব! ব্রিটেনে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগেই শপথ ঋষির
শনিবার যন্তর-মন্তরে তিনি বলেন, বালুচিস্তানে গৃহযুদ্ধ চলছে। শিশু থেকে কিশোর, পুরুষ হোক বা মহিলা — সবাই সেখানে স্বাধীনতা আন্দোলনের লড়াইতে নেমেছেন। এই লড়াইতে বালুচদের পাশে দাঁড়াক ভারত। তবেই পাক সন্ত্রাস মুক্ত হবে দক্ষিণ এশিয়া। এর পাশাপাশি ‘চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর’ বা সিপিইসি নিয়েও পাক সরকারকে এক হাত নিয়েছেন এই বালুচ অধ্যাপিকা।
advertisement
কাদরির কথায়, এই প্রকল্প বালুচিস্তানের মৃত্যু পরোয়ানা। এটা চিনের একটি সামরিক প্রকল্প। এর সঙ্গে অর্থনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। কেউ বালুচিস্তানের বন্দর বিক্রি করতে পারেন না। আমাদের পৈত্রিক ভিটে ও জমি থেকে বেদখল করার নোংরা ষড়যন্ত্রে নেমেছে চিন ও পাকিস্তান।
চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা সিপিইসি-র কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই বালুচিস্তানে শুরু হয় আন্দোলন। এই প্রকল্প অনুযায়ী পশ্চিম চিনের শিনজিয়ান প্রদেশ থেকে কারাকোরাম হয়ে গদর বন্দর পর্যন্ত রাস্তা তৈরি করছে বেজিং। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বালুচিস্তানের এই বন্দর বর্তমানে চিনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ার পর স্বাধীনতাপন্থী বালুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ একাধিক বার পাক সেনার উপর হামলা চালায়। যাতে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন পাক সেনা অফিসার ও জওয়ান। আক্রমণের শিকার হয়েছেন এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত চিনা ইঞ্জিনিয়াররাও।
এই অবস্থায় বালুচিস্তানে সেনা পাঠানোর জন্য ইসলামাবাদের উপর চাপ তৈরি করে চিন। যদিও সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে পাক সরকার। এবার কী তবে প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর সবথেকে বড় প্রদেশ হাতছাড়া হতে চলেছে ইসলামাবাদের? সূত্রের খবর, বালুচ বিদ্রোহীদের দমন করতে নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে পাক সেনা।
আগামী কয়েক মাসে সেখানে সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করবে রাওয়ালপিন্ডি। বালুচিস্তানের সেনাঘাঁটিগুলিতে পাঠানো হবে আরও অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও রসদ। পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে এই আশঙ্কায় প্রস্তুত রাখা হচ্ছে পাক বায়ু সেনাকেও। ভারত যে বালুচিস্তান সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় এমনটা নয়। কিন্তু এই মুহূর্তে বালুচ নেত্রীর জবাবে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি দিল্লি।