জেনিভায় রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের পার্মানেন্ট মিশন ক্ষিতিজ ত্যাগী বলেন যে, নিজেদের সামরিক-জঙ্গিমূলক কমপ্লেক্স দ্বারা নির্দেশিত পাকিস্তানি নেতৃত্ব মিথ্যা প্রচার ছড়িয়ে দিয়েছে।
রাষ্ট্রপুঞ্জে কঠোর ভাষায় আক্রমণ করে ত্যাগী বলেছেন যে, “পাকিস্তানের নেতা এবং প্রতিনিধিরা মিথ্যাচার করেই যাচ্ছেন। এটা দেখে সত্যিই আফসোস হয়। পাকিস্তান ওআইসি-কে নিজেদের মুখপত্র বলে শব্দের অপব্যবহার করে রীতিমতো তামাশা করছে। এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, এই কাউন্সিলের সময় নষ্ট হচ্ছে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রের দ্বারা। যে রাষ্ট্রটি অস্থিতিশীলতার মধ্যে রয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সহায়তায় টিকে রয়েছে। এর ভন্ডামি, এর অমানবিক কর্মকাণ্ড এবং এর অক্ষমতার শাসন। অন্যদিকে ভারতের সম্পূর্ণ মনোযোগ রয়েছে গণতন্ত্র, বিকাশ-উন্নতি এবং দেশের মানুষের মর্যাদা নিশ্চিত করার উপরেই। আর এই সমস্ত মূল্যবোধ থেকেই শিক্ষাগ্রহণ করা উচিত পাকিস্তানের।”
advertisement
আরও পড়ুন- আমেরিকার নাগরিকত্ব পাওয়া এখন আরও ‘দামি’, ট্রাম্প জমানায় সামনে এল ‘গোল্ড কার্ড’-এর!
কাশ্মীর প্রসঙ্গে পাকিস্তানকে কটাক্ষ ভারতের:
ত্যাগী আরও জানিয়েছেন যে, জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি সব সময় ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ থাকবে। আর এই সমস্ত অঞ্চলে বিগত কয়েক বছরে উন্নয়নই সেটা বলে দিচ্ছে। ত্যাগীর কথায়, “জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখের মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবেই থাকবে। বিগত কয়েক বছরে জম্মু ও কাশ্মীরের অভূতপূর্ব রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি নিজেই সেই উন্নয়নের কথা বলে দিচ্ছে। আর এই সাফল্যই বেশ কয়েক দশক ধরে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত একটি অঞ্চলে স্বাভাবিকতা আনতে সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতি জনগণের আস্থার প্রমাণ। এটি এমন একটি দেশ, যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন, সংখ্যালঘুদের নিপীড়ন এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পদ্ধতিগত অবক্ষয় রাষ্ট্রীয় নীতি গঠন করে। শুধু তা-ই নয়, এটি নির্লজ্জ ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের দাগিয়ে দেওয়া জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়। তাই পাকিস্তান আর কাউকে জ্ঞান দেওয়ার অবস্থানে নেই।”
ভারতের বক্তব্য, মানবাধিকার অথবা গণতন্ত্র প্রসঙ্গে পাকিস্তান নিজেদের বলার ক্ষমতা হারিয়েছে। কারণ তাদের সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়ন করার এবং আন্তর্জাতিক ভাবে দাগিয়ে দেওয়া জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। ত্যাগীর বক্তব্য, “ভারতের দিকে নজর না দিয়ে পাকিস্তানের উচিত, নিজের জনগণকে প্রকৃত শাসন ও ন্যায়বিচার প্রদানের দিকে মনোনিবেশ করা।”
আরও পড়ুন- অফিসে এলে বাথরুমে ২ মিনিট সময়,তাতে সারতে হবে টয়লেট হোক পটি,বেশিক্ষণ হলেই বড় টাকা ফাইন
ইউনাইটেড নেশনস সিকিউরিটি কাউন্সিলের ওপেন ডিবেটে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের পার্বতানেনি হরিশ কড়া ভাবে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রীর উত্থাপন করা জম্মু-কাশ্মীর প্রসঙ্গের পাল্টা জবাব দিয়েছেন। তাঁর কথায়, “পাকিস্তানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং বিদেশমন্ত্রী নিজেদের মন্তব্যকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীরকে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে উল্লেখ করেছেন। আমি আবারও নিশ্চিত করে বলছি যে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং চিরতরে সেটাই থাকবে।”