প্রথমবার দুর্গাপুজা, ঝক্কি কম নয়। এদিকে শিয়রে কোভিডের ভয়। এই পরিস্থিতিতে খুবই সন্তোর্পর্ণে, সব বিধি মেনে এগোতে হচ্ছে। কোনও বড়ো জায়গা আমরা ভাড়া করতে পারেননি ব্যারির বাসিন্দারা। এক প্রবাসীর বাড়ির একটি বড়ো হলঘরেই পুজোর আয়োজন।
আরও পড়ুন-মা আসছেন অ্যারিজোনায়! শিউলি ফুটুক নাই ফুটুক, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের ধারে আজ শরৎ কাল...
advertisement
আরও অভিনব প্রতিমা পরিকল্পনা। এক সদস্য় বলছিলেন, মায়ের প্রতিমা আমরা নিজেরাই বানিয়েছি। আমাদের একজন সদস্য ভারতবর্ষ থেকে একটি মাদুর্গার ছাঁচ আনিয়াছে অনলাইন এ এবং তাতে আমরা মায়ের মূর্তির আকার দিয়েছি। ছোট করে কিন্তু প্রচুর অন্তরের ভালোবাসা দিয়ে আমরা মাকে আহ্বান জানাচ্ছি।
অন্য এক প্রবাসী পুজোর পরিকল্পনাটা বললেন। তাঁর কথায়, মায়ের ভোগ আমরা নিজেরাই বানাবো। সন্ধেবেলা একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা নিজেরাই ছোটছোট অনুষ্ঠান করব।
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ১৫ ই অক্টোবর থেকে ১৭ ই অক্টোবর পর্যন্ত জমজমাট পুজোর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বরফ ঢাকা দেশে দুর্গাপুজো তো হচ্ছে। কিন্তু দুর্গাপুজো তো ছেলখেলা নয়, কলবউস্নান থেকে দেবীবরণ-উপাচারের শেষ নেই। দায়িত্ব নেবে কে! কথায় কথায় বেরিয়ে এলো এই ছটি পরিবাররের মধ্যে একটি এমন পরিবার রয়েছে যাদের দেশের বাড়িতে দুর্গাপুজো হয়। অভিজ্ঞতার দাম দিয়ে এই পরিবারের হাতেই ছাড়া হয়েছে পুজোর ভার।
৬ টি পরিবার মিলে আমরা পুজোর উদ্যোগ রিবার আরম্ভ করলেও এখন অনেক ভারতীয় আমাদের পুজোর সাথে যোগ দিতে চাইছেন। কোভিড পরিস্থিতিতে বেশি জনসমাগম সম্ভব নয় সেইজন্য ছোট ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে সম্প্রচারের ব্যাবস্থাও রাখছে ব্যারির বাঙালিরা।