TRENDING:

মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসা নয়, চাই প্রিয়জনের পরশ

Last Updated:

চলে গেলেন বারবারা বুশ ৷ সিনিয়ার জর্জ বুশের স্ত্রী, জুনিয়ার জর্জ বুশের মা ৷ স্বামী ও ছেলে দুজনেই ছিলেন মর্কিন রাষ্ট্রনেতা ৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#হিউস্টন : চলে গেলেন বারবারা বুশ ৷ সিনিয়ার জর্জ বুশের স্ত্রী, জুনিয়ার জর্জ বুশের মা ৷ স্বামী ও ছেলে দুজনেই ছিলেন মর্কিন রাষ্ট্রনেতা ৷ কথাতেই বলে, যে কোন সফল পুরুষের পাশে থাকেন এক মহিলা, যিনি সেই পুরুষের প্রেরণা ৷ বারবারাও তাই ৷ স্বামীর তিরিশ বছরের রাজনৈতিক জীবনের তিনিই ছিলেন ছায়াসঙ্গী ৷
advertisement

বারবারা ছিলেন ভীষণ বুদ্ধিমতী এবং অবশ্যই স্পষ্টবক্তা ৷ নিজের মতামতের এট গুরুত্ব ছিল তাঁর ৷ তাই তো মৃত্যুশয্যায় বলতে পেরেছেন চিকিৎসা নয়, তাঁর চাই প্রিয়জনদের সাহচর্য ৷ শুধু তাই নয়, তিনি চেয়েছিলেন তাঁর শেষ সময়ের চিকিৎসার খরচ দেওয়া হোক দুঃস্থদের সাহায্যে ৷ ৯২ বছরের বারবারার সিধান্ত নিয়েই এখন চলছে চর্চা ৷

advertisement

মৃত্যুর সময় পাশে থাকুক প্রিয়জনেরা, মৃত্যুর আগে বারবারা বুশের ইচ্ছে

মনোবিদ নিলাঞ্জনা ব্যানার্জির মতে, "এমন সিদ্ধান্ত কেবলমাত্র তিনিই নিতে পারেন যিনি অসুস্থ ৷ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া কখনোই নয় ৷ এমন সিদ্ধান্ত তাঁরাই নিতে পারেন যাঁরা পসিটিভ সাইকোলজিকে আপন করে নিতে পেরেছেন ৷ পৃথিবীর ভাল দিকগুলোকে মিসেস বুশ আপন করে নিতে পেরেছিলেন বলেই এমন দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে পারেছেন ৷ এটা ঠিকই, প্রিয়জনদের কাছে থাকাটা সব সময়ই সুখের ৷ মৃত্যর সময় তো বটেই ৷"

advertisement

চিকিৎসক অভ্রজিৎ রায়ের কথায় --

নিঃসন্ধেহে মহৎ চিন্তা ৷ এটা তো ঠিকই বেশি বয়সে উন্নত পরিষেবাও শরীর ঠিকভাবে নিতে পারেনা ৷ সেখানে যদি রোগীর কথা মেনে শরীরকে কষ্ট না দিয়ে বরং পরিবারের সকলে তার পাশে থাকেন তাহলে তো ভালই ৷ তবে রোগীকে এই সিদ্ধান্ত সজ্ঞানে নিতে হবে কোন উকিল এবং মনোবিদের সামনে, না হলে পরে কোন আইনি সমস্যা হতে পারে  ৷

advertisement

আরও পড়ুন : ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ার রাজধানীতে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালায় আমেরিকা

বারবারা বুশের শেষ ইচ্ছা নিয়ে এখন নানা মত নানা মহলে ৷ তাঁর মৃত্যু নিয়ে একদিকে যেমন শোকজ্ঞাপন চলছে, তেমনই প্রাক্তণ মার্কিন ফার্স্ট লেডির শেষ ইচ্ছে উস্কে দিচ্ছে নানা প্রশ্ন ৷

বাংলা খবর/ খবর/বিদেশ/
মৃত্যুশয্যায় চিকিৎসা নয়, চাই প্রিয়জনের পরশ