ওই অঞ্চলে সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংস খুবই জনপ্রিয় একটি পদ৷ যদিও এই মাংসে বিষক্রিয়ার আশঙ্কাও যে থাকে, তা জেনেই মানুষ এই মাংস খান৷ সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংসের স্বাদ অনেকটা গোমাংসের মতো হওয়ার কারণেই সেটি এত জনপ্রিয়৷
আরও পড়ুন: আরশোলা, টিকটিকির উপদ্রবে নাজেহাল? রান্নাঘরেই আছে মোক্ষম ওষুধ, জেনে নিন
পেম্বা দ্বীপের মেকোয়ানি জেলার মেডিক্যাল অফিসার জানিয়েছেন, ল্যাবরেটরি পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংস খেয়েই প্রত্যেকের মৃত্যু হয়েছে৷ কচ্ছপের মাংসে কেলোনিটক্সিজম নামে এমন একটি উপাদান থাকে যা থেকে বিষক্রিয়ার আশঙ্কা থেকে যায়৷
advertisement
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন-এর মতে, কচ্ছপের মাংস থেকে বিষক্রিয়ার ঘটনা বিরল৷ তবে একবার হলে এই বিষক্রিয়া থেকে প্রাণহানির আশঙ্কাও থাকে৷ কচ্ছপের মাংস থেকে স্নায়ু, কিডনিতে বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে৷
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কচ্ছপের শরীরের যে কোনও অংশের মাংস খেলেই বিষক্রিয়া ছড়িয়ে পড়তে পারে৷ প্রাথমিক উপসর্গ হিসেবে মাথা ধরা, বমি বমি ভাবের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে৷
২০২১ সালেও এই পেম্বা দ্বীপেই সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংস খেয়ে একটি শিশু সহ সাত জনের মৃত্যু হয়েছিল৷ বিবিসি-র একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, কচ্ছপের মাংস থেকে বিষক্রিয়া হওয়ার সবথেকে বেশি ভয় থাকে শিশুদের মধ্যে৷ অতীতে ইন্দোনেশিয়া ছাড়াও ভারত মহাসাগরের বিভিন্ন দ্বীপ থেকে সামুদ্রিক কচ্ছপের মাংস খেয়ে বিষক্রিয়ার ঘটনার কথা জানা গিয়েছে৷
ভারতে অবশ্য কচ্ছপ মাংস খাওয়া অথবা বিক্রি করাই বেআইনি৷ তবু পশ্চিমবঙ্গ সহ বিভিন্ন রাজ্যেই লুকিয়ে চুরিয়ে কচ্ছপের মাংস খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়৷