নাইজেরিয়া: নাইজেরিয়ার মধ্যাঞ্চলে একটি ক্যাথলিক স্কুল থেকে ৩০০-র বেশি পড়ুয়া ও শিক্ষককে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এক সপ্তাহের মধ্যে দেশটিতে এটি দ্বিতীয় বড় অপহরণ। ক্রিশ্চিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ নাইজেরিয়ার এক মুখপাত্র জানান, নাইজার রাজ্যের সেন্ট মেরি’জ স্কুল থেকে অপহৃত ২১৫ শিক্ষার্থীই ছাত্রী। এছাড়া আরও ১২ জন শিক্ষককে তুলে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা।
advertisement
যে সেন্ট মেরি’জ স্কুল থেকে পড়ুয়াদের অপহরণ করা হয়, সেখানে গিয়ে অপহৃত পড়ুয়াদের অভিভাবকদের সঙ্গে দেখা করেন রেভারেন্ড দউয়া ইয়োহানা। তিনি জানান, হামলার সময় আরও ৮৮ পড়ুয়াকে অপহরণ করা হয়। তারা পালানোর চেষ্টা করছিল। অপহৃত পড়ুয়াদের মধ্যে ১০ থেকে ১৮ বছর বয়সি ছেলে-মেয়ে দুই রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর নাইজিরিয়ার উত্তরের সরকারি স্কুলগুলি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে নিরাপত্তাহীনতা ঘিরে উদ্বেগ বাড়তে থাকায় পাশের কাতসিনা ও মালভূমি রাজ্যের কর্তৃপক্ষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সব স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। নাইজার রাজ্য সরকারও বহু স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই ঘটনার পর নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু আন্তর্জাতিক সফর বাতিল করেছেন, যার মধ্যে জোহানেসবার্গে হতে চলা জি-২০ সম্মেলনে যোগদানও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এবারই প্রথম নয়, গত সোমবার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় কেব্বি রাজ্যের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে হামলা চালিয়ে ২৫ জন ছাত্রীকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা। এ ছাড়াও নাইজেরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে একটি চার্চে হামলার ঘটনায় দু’জন নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে—যা আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাইজেরিয়ায় খ্রিস্টানদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সামরিক পদক্ষেপের হুমকির পরপরই সংঘটিত একাধিক সহিংসতার অংশ।
