সাইমন, যিনি হামলার পরবর্তী কার্যকলাপ নজরে রাখছেন, এক্স-এ শেয়ার করা নতুন ভিজ্যুয়ালে দেখিয়েছেন যে রাওয়ালপিন্ডির নুর খান এয়ারবেসে—যে ঘাঁটি সংঘর্ষের সময় ভারতের লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল—নতুন নির্মাণকাজ চলছে। ১৬ নভেম্বর তাঁর পোস্টে তিনি লিখেছেন, “মে ২০২৫-এর সংঘর্ষে ভারত যে স্থাপনাটি লক্ষ্য করেছিল, নুর খান এয়ারবেসে পাকিস্তান সেখানে নতুন একটি কাঠামো নির্মাণ করেছে।”
advertisement
অন্য লক্ষ্যস্থল জেকবাবাদ এয়ারবেসের উপগ্রহচিত্রে দেখা গেছে, ভারতীয় আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত সেই হ্যাঙ্গারের মেরামত এখনও চলছে। ছাদটি অংশে অংশে খুলে নেওয়া হয়েছে। সাইমনের মতে, এটি সম্ভবত কাঠামোর অভ্যন্তরীণ ক্ষতির মাত্রা নির্ণয়ের প্রক্রিয়া, পূর্ণ পুনর্গঠনের আগে প্রয়োজনীয় মূল্যায়ন।
মানুষের আয়ু হতে চলেছে ১৫০ বছর! বিশ্বজুড়ে চর্চায় চিনের ‘লংজিভিটি পিল’! জেনে নিন এর ক্ষমতা
১৫ নভেম্বর তাঁর আর এক পোস্টে তিনি বলেন, “গত কয়েক মাসের চিত্র বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে, পাকিস্তানের জেকবাবাদ এয়ারবেসে মে ২০২৫-এর সংঘর্ষে ভারত যে হ্যাঙ্গারটিকে লক্ষ্য করেছিল, তার ছাদ ধাপে ধাপে খুলে ফেলা হয়েছে—সম্ভবত ভিতরের ক্ষতি পরীক্ষার কাজ এখনও চলছে, সম্পূর্ণ মেরামতের আগে।”
সর্বশেষ ভিজ্যুয়াল দেখাচ্ছে, অপারেশন সিঁদুরে ভারতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পাকিস্তানের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি এখনও পুরোপুরি পুনর্গঠিত হয়নি।
২০২৫ সালের মে মাসে ভারত অপারেশন সিঁদুর শুরু করে—পাকিস্তানের অভ্যন্তরে থাকা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে এক সমন্বিত সামরিক অভিযান। অত্যন্ত নিখুঁত পরিকল্পনা ও প্রয়োগে পরিচালিত সেই অভিযানে পাকিস্তানের বিমানশক্তি ও কৌশলগত সম্পদের সঙ্গে যুক্ত একাধিক দূরবর্তী স্থাপনাকে নিশানা করা হয়।
অভিযানের আওতায় রাওয়ালপিন্ডির নুর খান এয়ারবেস ও সিন্ধের জেকবাবাদ এয়ারবেসসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিতে বহুবার হামলা চালানো হয়, যার ফলে হ্যাঙ্গার ও সহায়ক পরিকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়। উল্লেখ্য, পহেলগাঁওতে ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ পরই ভারত প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই সামরিক অভিযান শুরু করেছিল।
