১৯৯৯ সালে কাঠমান্ডু থেকে দিল্লিগামী ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের বিমানকে অপহরণ করে কান্দাহারে নিয়ে গিয়েছিল তালিবানরা৷ ১৭৬ জন বিমানযাত্রীকে সাতদিন বন্দি করে রাখা হয়েছিল৷ জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহার, আল উমর মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা মুস্তাক আহমেদ জারগার এবং ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত আল কায়দা নেতা আহমেদ ওমর সইদ শেখকে ভারতীয় জেল থেকে মুক্ত করার জন্য ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটিকে অপহরণ করা হয়৷ পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সাহায্যেই বিমানটি অপহরণ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ৷
advertisement
ইয়াকুব ছাড়াও তালিবানদের নতুন মন্ত্রিসভায় এমন অনেক তালিবান নেতাকে জায়গা দেওয়া হয়েছে, যাদের নাম আমেরিকা এবং রাষ্ট্রপুঞ্জের ঘোষিত জঙ্গিদের তালিকায় রয়েছে৷ এর থেকেই স্পষ্ট আফগানিস্তানে এই মুহূর্তে হাক্কানি নেটওয়ার্ক কতখানি প্রভাবশালী৷ আর এই হক্কানি নেটওয়ার্কের পিছনে আইএসআই-এর মদত প্রতিষ্ঠিত সত্য৷
আফগানিস্তানে তালিবানদের সঙ্গে হাক্কানি নেটওয়ার্কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকলেও তারা স্বাধীন ভাবে পরিচালিত হয়৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিবানদের কাঠামোর মধ্যে যুদ্ধক্ষেত্রে সবথেকে দক্ষ বাহিনী রয়েছে হাক্কানি নেটওয়ার্কের হাতে৷ যার নেতৃত্বে রয়েছেন সিরাজুদ্দিন হাক্কানি৷ তিনি আবার নতুন তালিবান সরকারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী৷
প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া মোল্লাহ ইয়াকুবকে মে মাসে তালিবানদের মিলিটারি কমিশনের নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল৷ তাঁকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী করা নিয়ে তালিবান নেতৃত্বের মধ্যে মতবিরোধও সরকার গঠনে দেরি হওয়ার অন্যতম কারণ৷
মোল্লাহ ইয়াকুব এবং সিরাজুদ্দিন হাক্কানি চেয়েছিলেন, তালিবানদের নতুন সরকারের রাশ থাকুক তাদের সামরিক শাখার হাতে৷ দোহার তালিবান নেতৃত্বকে সরকার পরিচালনার ক্ষমতা থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা৷ রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুযায়ী, তালিবানদের নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে মোল্লাহ ইয়াকুবের৷