কাঠমান্ডু: যাবতীয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যান করল নেপালের ওলি সরকার। ব্যান করা সোশ্যাল মিডিয়ার তালিকায় আছে ফেসবুক, এক্স (পূর্বতন ট্যুইটার), ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মও। গত ৪ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে এই সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। আর সরকারের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই পথে নেমেছে নেপালের যুবসমাজ। রীতিমতো যুদ্ধপরিস্থিতি কাঠমান্ডুতে। বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। তাতে এক জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।
advertisement
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওলি সরকার? আসলে নেপালে ব্যবসা করতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল ওলি সরকার। তার জন্য ২৮ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। পরে তা আরও সাতদিন সময় বাড়ানো হয়েছিল।
৪ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরে অনথিভুক্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করে নেপালের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক। নথিভুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সাইটগুলিকে ব্লক করে রাখতে হয়েছে নেপাল টেলিকম অথরিটিকে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে নথিভুক্ত হওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করা হয়েছিল নেপাল সরকারের তরফে। সময় সময় সেই ডেডলাইন বাড়ানো হয়। কিন্তু ৪ সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত সময়সীমা আর বৃদ্ধি করা হবে না বলে স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন দেশের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের মুখপাত্র গজেন্দ্র ঠাকুর। তিনি বলেন, মধ্যরাতের আগেই সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলি আবেদন করবে বলে সরকার আশা করছে। তা না হলে, সরকার আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারে। কিন্তু দেখা যায়, তার পরেও কোম্পানিগুলির টনক নড়েনি। ফলে ডেডলাইন পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কোনও আবেদনপত্র জমা না পড়ায় সেগুলিকে নিষিদ্ধ করার মতো কঠোর পদক্ষেপ ঘোষণা করে কাঠমান্ডু। এবার তা নিয়েই প্রবল বিক্ষোভের মুখে ওলি সরকার।