সংবাদমাধ্যম রয়টার্সে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশের মুখপাত্র বিনোদ ঘিমির জানিয়েছেন নেপালের ইলাম জেলায় পৃথক ভূমিধসের ফলে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ অঞ্চলে বজ্রপাতের কারণে ৩ জন নিহত হয়েছে এবং উদয়পুর জেলায় বন্যায় ১ জন মারা গেছে।
advertisement
কাঠমান্ডু পোস্টের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোশি প্রদেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা (৩৬) রিপোর্ট করা হয়েছে। এখনও নেপালে ১১ জন নিখোঁজ। নেপালের জলবিদ্যা এবং আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে যে আটটি প্রধান নদী বিপদ সীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
তাছাড়া, কাঠমান্ডু উপত্যকাকে দেশের বাকি অংশের সাথে সংযুক্তকারী প্রধান মহাসড়কগুলি বন্যা এবং ভূমিধসের জেরে অবরুদ্ধ রয়েছে, শত শত মানুষ আটকে পড়েছেন। পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে রবিবার সকালে পর্যন্ত নেপালের রাজধানীতে প্রবেশের সমস্ত পয়েন্ট বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: তিস্তার বাঁধে ফাটল, বাড়ছে একের পর এক নদীর জল! প্রবল উদ্বেগে উত্তরবঙ্গের একাধিক এলাকা
ভুটানের পার্বত্য এলাকায় আপাতত বৃষ্টি না হওয়ার দরুন জলঢাকা, তোর্সা, রায়ডাক ১, রায়ডাক ২, নদীর জল স্তর নামছে। জলস্তর নামার সঙ্গে সঙ্গেই বাঁধগুলি মেরামতের কাজ দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিকে। তবে বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় নদীগুলি জল স্তরের উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি করার নির্দেশ নবান্নের সেচ দফতরকে।